প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:২৬:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুরের বিরলে মঙ্গলপুর ইউনিয়নের উত্তর মাধবপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী দৈই-শৈই দিঘি পাড়ের শ্মশানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাধি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং বিরল থানার ওসি ফকরুল ইসলামের প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক হাজার হিন্দু-মুসলিম নারী-পুরুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী দৈই-শৈই দিঘি পাড়ের শ্মশান প্রাঙ্গণে কয়েক হাজার হিন্দু-মুসলিম পুরুষ-মহিলা নিয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধন শেষে দৈই-শৈই দিঘি কমিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিরল উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাড. সুধীর চন্দ্র শীল, হিন্দু মহাজোট আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এ্যাড. সরোজ গোপাল রায়, মাইনরিটি রাইটস প্রটেকসন অ্যাডভোকেট সেলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শৈলেন কান্তি রায়, বিনয় কান্তি রায় জীবন, এ্যাড. নিত্যানন্দ রায়, এ্যাড. তুলশী চন্দ্র রায়, এ্যাড. অক্ষয় চন্দ্র রায়, মঙ্গলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল, বর্তমান চেয়ারম্যান সেরাজুল ইসলাম, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, দৈই-শৈই দিঘি পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বসন্ত কুমার রায়, কোষাধ্যক্ষ গোকুল চন্দ্র রায়, সহকারী কোষাধ্যক্ষ সচিন মাস্টার, সদস্য মানিক চন্দ্র রায় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে শ্মশানের সমাধি ভাঙচুর করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। পরদিন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ সুপার সুজন সরকার, বিরলের ওসি ফকরুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
পরে দৈই-শৈই দিঘি পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বসন্ত কুমার রায় বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন। কিন্তু থানার ওসি ফকরুল ইসলাম প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সু-কৌশলে মামলার বাদীর কাছ থেকে দুর্বল এজাহার গ্রহণ করে আসামিদের জামিনে সুযোগ দিয়েছেন। তাই দায়িত্বে অবহেলার কারণে অবিলম্বে বিরল থানার ওসি ফকরুল ইসলামের প্রত্যাহারসহ সঠিক তদন্ত পূর্বক এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানান তারা।
এ ব্যাপারে বিরল থানার ওসি ফকরুল ইসলাম বলেন, শ্মশানের সমাধি ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ মামলা করেছিল। সেই মামলায় থানা-পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছিল। পরবর্তীতে গ্রেপ্তাররা ও অন্যান্য আসামিরা আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে। মামলাটির ব্যাপারে থানা-পুলিশ কোনো ধরনের গাফিলতি করে নাই।