প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১:৪০:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আতাহারুল ইসলাম ফেঁসে যাচ্ছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ফাস ফাইন্যান্সের ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মঙ্গলবার ১৩টি মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ৪টি মামলায় আসামি হচ্ছেন সাবেক এ সচিব।
আর প্রতিটি মামলায় আসামি হচ্ছেন বিদেশে পালিয়ে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালাদার ও ফাস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল শাহরিয়ার। এসব মামলায় মোট ২৯ জনকে আসামি করা হচ্ছে। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এসব মামলা করবেন। গতকাল বুধবার দুদক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ফাস ফাইন্যান্স থেকে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। আমাদের অনুসন্ধান কর্মকর্তা গতকাল পর্যন্ত ১৩টি ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। সর্বশেষ অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১৩টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। ইতোমধ্যে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। বাকি ১২টি মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে করা হবে।
দুদকের অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের একটি অভিযোগ জমা পড়ে। কমিশন অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ফাস ফাইন্যান্সের ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩টি মামলা করার সুপারিশ তুলে ধরে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কমিশন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মামলাগুলো দায়ের করার অনুমোদন দেয়। প্রতিটি মামলায় ফাস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল শাহরিয়ার ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি পিকে হালাদারসহ ২৯ জনকে আসামি করা হচ্ছে। এর মধ্যে চার মামলায় আসামি হচ্ছেন সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আতাহারুল ইসলাম। মামলার অনুমোদনের পর গতকাল ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়। বাকি ৪৭৯ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ১২টি আজ-কালের মধ্যে দায়ের করা হবে।
দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ফাস ফাইন্যান্সের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলার অনুমোদন দিতে প্রায় ৬ মাস আগে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। সাবেক সচিবের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হতে গিয়ে মামলার অনুমোদন নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে কমিশন। এর পর কমিশন অন্য এক কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টির তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার অনুমোদন দেয়। তবে মামলার আগেই অভিযুক্ত সাবেক সিনিয়র সচিব বিদেশ গমন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, পিকে হালদার রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি থাকাকালে তার আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের আরও বেশ কয়েকটি লিজিং কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক পদে বসান। এর পর তাদের সহযোগিতায় কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে ১১ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে বের করে আত্মসাৎ করেন। পিকে হালদারকে সহযোগিতা করতে গিয়ে তারা এখন ফেঁসে গেছেন। যাদের একজন হচ্ছেন সাবেক সিনিয়র সচিব আতাহারুল ইসলাম।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, পিকে হালদার আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। এ কাজে তিনি তার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের ব্যবহার করেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিক বানিয়ে ঋণ হাতিয়ে নিলেও তারা ছিল বেতনভুক্ত কর্মচারীর মতো। সবাইকে মাসিক একটা বেতন দিয়ে বিভিন্ন কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিক বানিয়ে লিজিং থেকে ঋণ হাতিয়ে নিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি মো. রাশেদুল ইসলাম ও পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব অপরাধের কথা স্বীকার করেন।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পিকে হালদার পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের মতো ফাস ফাইন্যান্স থেকে বিভিন্ন কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ফাস ফাইন্যান্স থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেওয়া পিকে হালদারের ২২টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের ২০টিই ভুয়া। শুধু কাগজপত্রে প্রতিষ্ঠান হলেও বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। দুদকের অনুসন্ধান টিম সরেজমিনে পরিদর্শন করে ২০টি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব পায়নি। বাস্তবে যে ২টি প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেছে, সেগুলোও বন্ধ।
অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করতে ফাস ফাইন্যান্সের সহকারী ম্যানেজার মো. নুরুল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে দুদকের চার সদস্যের একটি টিম গত বছর দুই সপ্তাহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ২০টি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় যায়। কিন্তু একটিও খুঁজে পায়নি। ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরাও তাদের বাসায় থাকে না, কেউ কেউ আবার বিদেশে। সবার মোবাইল নম্বর বন্ধ। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ নেই। ফলে ঋণের টাকা আদায়ের আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
পিকে হালদার যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন তার মধ্যে অস্তিত্বহীন ২০টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- নিউটেক এন্টারপ্রাইজ, নিউট্রিক্যাল লিমিটেড, এসএ এন্টারপ্রাইজ, সুখাদা প্রপার্টিজ লিমিটেড, নেচ্যার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, উইনটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, বর্ণ, সন্দ্বীপ করপোরেশন, আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এন্ডবি ট্রেডিং, আরবি এন্টারপ্রাইজ, দেওয়া শিপিং লিমিটেড, ইমার এন্টারপ্রাইজ, জিএন্ডজি এন্টারপ্রাইজ, হাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কণিকা এন্টারপ্রাইজ, মেরিনট্রাস্ট লিমিটেড, মুন এন্টারপ্রাইজ, এমটিবি মেরিন লিমিটেড, পিএন্ডএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ফাস ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে উত্তোলন করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নেওয়া হলেও ঋণের টাকা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা হয়নি।
অনুসন্ধান সূত্র বলছে, বেশিরভাগ ঋণের ক্ষেত্রে মর্টগেজ ছিল না; থাকলেও তার পরিমাণ খুবই নগণ্য। কিছু ক্ষেত্রে মর্টগেজ নেওয়ার কথা থাকলেও পরে নেওয়া হয়নি। অথচ ঋণ হিসাব থেকে সব টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বোর্ড অব ডিরেক্টরস ও চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
পিকে হালদারের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের সাবেক সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত পিকে হালদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় ৬২ জনের নাম পাওয়া গেছে। পিকে হালদারের বিষয়টি এখন অনেক বড়। দেখা যাচ্ছে, তার বিভিন্নজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে। আমরা ইতোমধ্যে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
দুদকের জনসংযোগ শাখা জানায়, ফাস ফাইন্যান্সের ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩টি মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মামলায় ফাস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল শাহরিয়ার ও বিদেশে পালিয়ে থাকা রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্র শান্ত কুমার (পিকে) হালাদারসহ ২৯ জনকে আসামি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়।
দুদকের তথ্যমতে, ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান এন্ড বি ট্রেডিং নামে ৪৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি পিকে হালাদার, এন্ড বি ট্রেডিংয়ের মালিক শুভ্রা রানী ঘোষ, ফাস ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমডি মো. রাসেল শাহরিয়ার- ৮ জন পরিচালক এমএ হাফিজ, মো. আবুল শাহজাহান, ডা. উদ্দাব মল্লিক, অরুণ কুমার কু-ু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপল পোদ্দার।
এদিকে মামলা দায়েরের পর ফাস ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি মো. রাসেল শাহরিয়ারকে রাজধানীর মোহাম্মদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে দুদক। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বাকি যেই ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ ৪৫ কোটি টাকা, নিউট্রিক্যাল ৩০ কোটি টাকা, এসএ এন্টারপ্রাইজ ৪২ কোটি টাকা, সুখাদা ৪০ কোটি টাকা, এমটিবি মেরিন ৪০ কোটি টাকা, হাল ইন্টারন্যাশনাল ৪৫ কোটি টাকা, স্বন্দীপ করপোরেশন ৪০ কোটি টাকা, দিয়া শিপিং ৪৪ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজ ৩৫ কোটি টাকা, বর্ণ ৩৮ কোটি টাকা, আরবি ৪০ কোটি টাকা এবং মেরিন ট্রাস্ট ৪০ কোটি টাকা রয়েছে।
এদিকে, ফাস ফাইন্যান্সের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, বোর্ড সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুদকের তথ্যমতে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এখন পর্যন্ত ৮৩ জনের ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ আদালতের মাধ্যমে ফ্রিজ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৫২ আসামি ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম পিকে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ১৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ১০টি এবং ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর পর ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। তার কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার নন্দী, শংখ বেপারি, রাশেদুল হক, অবান্তিকা বড়াল ও নাহিদা রুনাইসহ ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সূত্র : আমাদের সময়