• রংপুর বিভাগ

    ঘোড়াঘাটে সরিষার বাম্পার ফলন দামে খুশি চাষীরা

      প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৪:২৮:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরিষার আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছ। ভাল দাম পেয়ে খুশি সরিষা চাষীরা।
    দেশে এবার ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার কারণে অধিক জমিতে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা। এছাড়া পরিবারের সারা বছরের ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতেও সরিষা চাষ করছেন অনেক কৃষক। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি তারা।
    উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বারী- ৯, বারী-১৪, বারী-১৭, বারী-১৮ ও দেশী জাতের সরিষা চাষ করেছেন চাষীরা। উপজেলার রাণীগঞ্জ,ঘোড়াঘাট,ডুগডুগী,বলগাড়ী ওওসমানপুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি মণ সরিষা প্রকার ভেদে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সরিষা চাষ লাভজনক ।অতি অল্প সময়ে, অল্প পুঁজিতে কৃষকরা লাভবান হন। তাই অধিকাংশ কৃষক এখন সরিষা চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। দুটি ফসলের মাঝে কৃষকরা সরিষা চাষের ফলনকে বাড়তি ফসল হিসেবে দেখছেন। আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা লাগাতে হয়। যা মাত্র ৫৫ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারেন। এক একর (২৪৭ শতাংশ) জমিতে সরিষা আবাদ করতে খরচ হয় ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। যদি সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা যায় তাহলে প্রতি একরে ফলন হয় ১৫ থেকে ১৮ মণ।
    উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের মগলিশপুর গ্রামের কৃষক সাজ মিয়া জানান, আমন ধান কাটার পর তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলেন। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। প্রতি মণ সরিষা ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এতে বোরো আবাদের তেল ও সার কেনার টাকা জোগাড় হবে বলে জানান তিনি।
    সরিষা চাষী মাসুদ জানান, পরিবারের খাবার তেলের চাহিদা মেটাতে তিনি ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সরিষা বিক্রি করেছেন। বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি তিনি।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এখলাস হোসেন সরকার বলেন, সরিষা চাষ করতে সেচ খরচ বা বাড়তি কোন খরচ করতে হয়ন্।া ফলে সরিষা চাষে কৃষকরা ্অনেক লাভবান হয়। উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে অধিক ফলন পেতে নানা ভাবে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষি প্রনোদনায় সার ও বীজ সঠিক সময়ে কৃষকদের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে। ফলে কৃষকের কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। উৎপাদন ও দামে কৃষকরা সন্তুষ্ট।

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content