প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২২ , ৫:২৫:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
মো: নজরুল ইসলাম (দিনাজপুর২৪.কম) বিরামপুর উপজেলায় গত এক বছরে জ্বালানী খড়ির মূল্য বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। খড়ির বড় ব্যবহারকারী হোটেল রেষ্টুরেন্ট ও সাধারণ ভাবে বাসাবাড়িতে ব্যবহারকারীরা বিপাকে পড়েছেন। চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বনের কাঠ চুরি ঠেকাতে বন বিভাগের চরকাই রেঞ্জ বনাঞ্চলে পাহারা জোরদার করেছে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) পৌর এলাকার জ্বালানী খড়ির আড়ৎ ও স’মিল ঘুরে দেখা গেছে, ভাল মানের চেরাই খড়ি প্রতি মন ২৮০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা মন দরে এবং সরু ডাল খড়ি ২শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর একই সময় চেরাই খড়ির মূল্য প্রতিমন ১৫০ টাকা এবং ডাল খড়ি ১২০ টাকা মন ছিল। এক বছরের ব্যবধানে জ্বালানী খড়ির প্রায় দ্বিগুণ মূল্য বৃদ্ধিতে ব্যবহারকারীরা বিপাকে পড়েছেন।
বিরামপুর পূর্বপাড়া মহল্লার জাহের আলী বলেন, বাজারে অন্যান্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে জ্বালানী খড়ির দাম বাড়ায় সংসারের খরচ বেড়ে গেছে। চা দোকানী সুমন হোসেন বলেন, জ্বালানী খড়ির দাম বাড়ায় তিনি খড়ি জ্বালিয়ে চা বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
হাবিবপুর মোড়ের স’মিল মালিক রেজোয়ার আলী জানান, গত বছরের তুলনায় এবার তিনি দ্বিগুণ দামে খড়ি বিক্রি করছেন। কারণ হিসাবে বলেন, অন্যান্য জ্বালানী উপকরণের দাম বাড়ায় খড়ির চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তিনি বেশি দামে কাঠ কিনছেন এবং বেশি দামে খড়ি বিক্রি করছেন।
এদিকে বাজারে জ্বালানী খড়ির মূল্য বৃদ্ধিতে সরকারি বনাঞ্চলের কাঠ চুরি ঠেকাতে বন বিভাগ পাহারা জোরদার করেছে। ৪ উপজেলা বিস্তৃত বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণকারী বিরামপুর (চরকাই) রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার বলেন, খড়ির মূল্য বৃদ্ধিতে বাগান এলাকার কাঠ চোরেরা সরব হয়ে উঠেছে। সরকারি বনের গাছ ও কাঠ চুরি ঠেকাতে এই রেঞ্জের অধিন ৫টি বিট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাহারা জোরদারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।