• Top News

    ইমরান খান কি শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন?

      প্রতিনিধি ৩১ মার্চ ২০২২ , ৬:১০:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্ভবত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে খানকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অপসারণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তানের বেশ কিছু বিরোধী দল।

    পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসবেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে পারে।

    গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটা ঝড় বয়ে গেছে, যার ধারাবাহিকতায় ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)-র বেশ কয়েকজন সদস্য দল ত্যাগ করেন।

    এর ফলে অনাস্থা ভোটের ফল ইমরানের বিরোধী দলের পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। পাকিস্তানের সংসদে ৩৪২ আসনের মধ্যে ১৭২ ভোট নিয়ে বিরোধী দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্ব বাতিল হবে।

    ইমরান খানের জোটের প্রধান শরিক এমকিউএম বুধবার বিরোধী জোটে যোগ দেয়ার পরই বিরোধী দল সংসদে এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কাগজে কলমে পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ভোট এখন ১৭৫, আর সরকারি দলের ১৬৪।

    অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর দুর্নীতি রোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতায় আসা ইমরান খান অবশ্য সহজে নিজের অবস্থান ছাড়ছেন না। তিনি এখনও কতটা জনপ্রিয়, তার প্রমাণ হিসেবে রবিবার ইসলামাবাদে বিশাল এক র‍্যালি আয়োজন করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

    ওই র‍্যালিতে খান তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের (তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী আসিফ জারদারি) দিকে ইঙ্গিত করে সমবেত মানুষের প্রতি একটি চিঠি প্রদর্শন করেন, যেটিতে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত চোর’দের সহায়তায় ‘বিদেশি চক্রান্তের’ মাধ্যমে তার সরকার উৎখাতের চেষ্টার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

    তবে ওই চিঠিতে ঠিক কী রয়েছে, সেটি খোলাসা করেননি তিনি। এই নাটকীয়তার মধ্যেই বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার কথা থাকলেও কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই তা বাতিল করেন ইমরান খান। -ডেস্ক রিপোর্ট

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content