উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের বোরো চাষি আলতাফ মিয়া বলেন, আমি প্রায় এক বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। আর এক সপ্তাহের মধ্যে ধান পুরোপুরি পেকে যেত। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে ধানগুলো এখনই কাটতে হচ্ছে। তবে আর এক সপ্তাহ পরে কাটতে পারলে ভালো ধান পাওয়া যেত।
অর্জুনা ইউনিয়নের কৃষক আজগর আলী বলেন, এ বছর বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু জমির ধান কেটে ফেলেছি। অবশিষ্ট জমির ধান ১০-১২ দিন পরে কাটতে চেয়েছিলাম। হঠাৎ যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে এখনই ধানগুলো কাটতে হচ্ছে। যেখানে ২০ মণ ধানে পেতাম, সেখানে এখন ১৪ থেকে ১৬ মণ ধান পাবো।
গাবসারা ইউনিয়নের বোরো চাষি ফজলুল হক, জাহাঙ্গীর ও মতি মিয়া বলেন, বিগত বছর গুলোর মতো এ বছরও আমরা বোরো ধান লাগিয়েছি। সারা বছর বোরো ধান দিয়েই সংসার চলে আমাদের। যমুনার তীরবর্তী ডোবাতে লাগানো বোরো ধান কাটতে শুরু করেছি। আর এক সপ্তাহ পরে কাটতে পারলে আরো বেশি ফলন পেতাম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চলতি বছরে উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলে ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চরাঞ্চলের উপরিভাগে ৯০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলো কাটতে শুরু করেছে কৃষকেরা।
‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রায় ৪০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি ৫০ হেক্টর জমির ধান কয়েক দিন পরে কাটার কথা থাকলেও পানি বৃদ্ধির কারণে সেগুলোও কাটতে শুরু করেছে কৃষকেরা।’ -অনলাইন ডেস্ক