প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২২ , ১১:২০:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুস সালাম, হেড অব নিউজ (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুরের মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটার আমেজ পুরোপুরি শুরু না হলেও ইফতারের পর বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়ার কারণে মার্কেট কর্তৃপক্ষও মধ্যরাত রাত পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণত ১৫ রমজানের পর থেকে মার্কেটে পুরোদমে বেচাবিক্রি শুরু হয়, তবে অনেক ক্রেতা রমজানের প্রথম সপ্তাহেও সেরে ফেলেন কেনাকাটা। এবার যেহেতু করোনা ভাইরাসের ঝামেলা নাই, আশা করি সামনের দিনগুলোতে ক্রেতাসমাগম আরো বাড়বে।
সরেজমিনে গতকাল পুলহাট, কাচারী মার্কেট, স্টেশন রোড, বাহাদুর বাজার, এন, এ, মার্কেট, জাভেদ সুপার মার্কেট, রহিম সুপার মার্কেট, লিলিমোড়, লুৎফরনেচ্ছা টাওয়ার, রেইনবো সুপার মার্কেট, জেলরোড মার্কেট, গুলশান মার্কেট, মালদহপট্টি মর্ডাণ মোড়, চারুর বাবুর মোড়,সুইহারী, ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ড বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পছন্দের বিভিন্ন পোশাক দেখছেন। দরদামে মিললেই পছন্দের পোশাক কিনে বাড়ির পথ ধরছেন। গতকাল শহরের মালদহপট্টিতে আসা ক্রেতা মৌসুমী বলেন, ঈদের টুকিটাকি শপিং করতে এসেছি। গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে শান্তিতে শপিং করতে পারিনি। তবে এ বছর সেই পরিস্থিতি থেকে অন্তত মুক্তি পেয়েছি। এ বছর বিক্রেতারা বেশ ভালো ভালো ড্রেসের কালেকশন নিয়ে এসেছে, তবে দাম একটু বেশি বলা যায়।
বাহাদুর বাজারের জাভেদ সুপার মার্কেটে আসা গৃহিনী সুইটি বলেন, বাচ্চার জন্য জামা নিতে এসেছি। সামনের দিনগুলোতে মার্কেটে ভিড় বেড়ে যাবে, তাই একটু আগেবাগে শপিং সারতে এসেছি।
কাচারী হকার্স মার্কেটের সভাপতি আমিন বলেন, মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়তে শুরু করেছেন। এটি আমাদের জন্য আনন্দের। কারণ আমরা ব্যবসায়ীরা গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা অনেক আশা নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন। আমাদের কাচারী হকার্স মার্কেটে সব ধরণের ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে। তবে আমাদের মার্কেটে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারা বেশি আসেন।
লুৎফরনেচ্ছা মার্কেটের এক দোকানী বলেন, মার্কেটে বিশেষ করে ইফতারের পর থেকে প্রচুর ক্রেতা সমাগম হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বেচাবিক্রি অবস্থা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি এবার আমরা গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
আব্দুর রহিম সুপার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মুর্তুজা এবং সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন বলেন, মার্কেটে ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করছে। আশা করি ১৫ রমজানের পর থেকে পুরোদমে বেচাবিক্রি শুরু হবে।