প্রতিনিধি ২ মে ২০২২ , ১২:২২:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ দিনাজপুরের বিরামপুরের ১৫ গ্রামের কিছু সংখ্যক মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। ঈদের জামাতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আজ সোমবার (২ মে) সকাল ৮টায় উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের মসজিদে এবং ৮টা ১০মিনিটে আয়ড়া মাদ্রসা মাঠে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১৫ গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক মুসল্লি নামাজ পড়েন।
খয়ের বাড়ি জামে মসজিদে মো.দেলোয়ার হোসেন কাজি এবং মাওলানা মাসুম পারভেজ আয়ড়া মাদ্রসা মাঠের জামায়াতের ইমামতি করেন।
সরেজমিনে উপজেলার খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের গিয়ে দেখা যায়, সময় হওয়ার আগেই দূর-দূরান্তের থেকে নামাজ পড়তে মুসল্লিরা আসছেন। কেউ ভ্যানে করে কেউ সাইকেল কেউও বাইকযোগে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও করা হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা। নির্ধারিত সময় সকাল ৮টায় ওই এলাকার মসজিদে মো. দোলোয়ার হোসেন কাজির ইমামতিতে নামাজ শুরু হয়।
ঈদ উদযাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি মসজিদের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।
তিনি বলেন, যে দিন রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে সেই দিন মহান আল্লাহ রহমতের দরজা খুলে দেন, বেহেস্তের দরজা খুলে দেন এবং দোজখের দরজা বন্ধ করে শয়তানকে তালবন্ধ করেন। যে শয়তানকে আল্লাহ বাধল সেটা গোটা মুসলিম জাতির জন্য বাধল।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) এক সাহাবি এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আল্লাহর রাসুল এই যে চাঁদটা ছোট হয় এবং বড় কেন হয়?’। এই কথার পর আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন, ‘হে নবী, আপনি বলে দিন আমি বিশ্ববাসীর জন্য একটা ক্যালেন্ডার পাঠালাম’। এতে করে সেই ক্যালেন্ডারের মধ্যে বাংলাদেশও আছে।
তিনি বলেন, ‘আবার হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করে ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার কিন্তু যদি দিন ধরা হয় তাহলে আমাদের দেশে সেই দিনহয় মঙ্গলবার। আবার রমজানে ২৭ তারিখে আমরা ‘লাইলাতুল কদর’ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুঁজি। কিন্তু দিন হিসেবে আমরা একদিন পর সেই রাতকে খুঁজতেছি। এমন বিভিন্ন চিন্তা ও হাদিসের ব্যাখ্যার কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উযদাপন করছি। ’
দেলোয়র হোসেন বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ’
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুমনকুমার মহন্ত বলেন, ‘বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি ও বিনাইল দুই ইউনিয়নের সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কোন প্রকার বিশৃঙ্খল ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অনলাইন ডেস্ক