প্রতিনিধি ৭ মে ২০২২ , ৫:৫২:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর২৪.কম) এ যে সয়াবিন তেলের প্রভাব পড়েছে দিনাজপুর ফিলিং স্টেশনগুলোতে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে দিনাজপুরে হঠাৎ করেই পেট্টোল-অকটেনের কৃত্রিম সংকটের দেখা দিয়েছে। জনসাধারণ বলছেন দিনাজপুরে পেট্টোল ও অকটেন কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছে ব্যবসায়ীরা অন্যদিকে তেল ব্যবসায়ীরা বলছে সরবরাহ না থাকায় পেট্টোল-অকটেন নেই। পাম্পে পাম্পে ছুলছে ’পেট্রোল-অকটেন নেই’ নোটিশ।
দিনাজপুরের ফিলিং স্টেশনগুলোতে পেট্রোল ও অকটেন সংকটের কারণে জ্বালানি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে যানবাহন চালকদের। ঈদকে ঘিরে কয়েক দিন ধরে এই অবস্থা বলে জানিয়েছেন তেল বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে কবে নাগাদ এই সমস্যা সমাধান তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের কয়েকটি পাম্পে সামনে লেখা হয়েছে ‘তেল নেই’। তা দেখে অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রমতে, জেলায় ১৩ উপজেলায় ৯১টি তেল পাম্পে প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ লিটার পেট্রোল ও ৬৫ হাজার লিটার অকটেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু গত তিন মাস থেকে জ্বালানি পেট্রোল ও অকটেনের সরবরাহ কম ছিল। এক মাস ধরে অকটেনের সরবরাহ নেই।
শহরের মর্ডাণ মোড়, সুইহারী এলাকায় ফিলিং স্টেশনে দেখা গেছে, পেট্রোল ও অকটেন না থাকায় পাম্পের গায়ে লিখে দেওয়া হয়েছে তেল না থাকার নোটিশ। তা দেখে মোটরসাইকেল চালকদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। তেল নিতে আসা শহরের বালুবাড়ি এলাকার বজলুর রশিদ জানান, মাকে নিয়ে আত্মীয় বাড়ি যাব। আমি তেল নেওয়ার জন্য সকাল থেকে তিনটি পাম্পে গিয়েছি, কিন্তু পাইনি। বলা হচ্ছে, পেট্রোল নেই। এমনকি অকটেনও পাওয়া যাচ্ছে না।
সদরের বাহাদুর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী সফিকুল বলেন, আমি কয়েক দিন তেল নিতে গিয়ে ঘুরে গেছি। গ্রামের অনেক মানুষ মোটরসাইকেলের জন্য তেল নেন। তবে, কবে নাগাদ তেল পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পাম্প কর্তৃপক্ষ। এক ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী জানান, ঈদের কয়েক দিন আগেই পেট্রোল সংকট চরমে পৌঁছেছে। মানুষকে দিতে পারছি না। ঈদের কিছুদিন আগে ৪০ হাজার লিটার অকটেন এসেছিল, সেগুলো দিয়ে কোনো রকমে চালাতে হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রতিদিন এ পাম্পে দেড় হাজার লিটার পেট্রোল ও ১০০০ লিটার অকটেন প্রয়োজন। কিন্তু, সরবরাহ না থাকায় আমরা গ্রাহককে পেট্রোল ও অকটেন দিতে পারছি না। যার কারণে তেল না থাকায় পাম্পের গায়ে তেল নেই লিখে দিতে হয়েছে। জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, তিন মাস থেকে পেট্রোল সংকট দেখা দেয়। দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপোতে না পেয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে তেল নিয়ে পাম্পগুলো চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু এখন বাঘাবাড়ি ডিপোতেও পেট্রোল ও অকটেন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পাম্পগুলোতে ডিজেল সরবরাহ রয়েছে।
এ বিষয়ে যমুনা ওয়েল লিমিটেড পার্বতীপুর ডিপোর ইনচার্জ মো. আহসানের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমরা খুলনা থেকে পার্বতীপুর ডিপোতে পেট্রোল নিয়ে আসি। এখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু পেট্রোল সংকটের কারণে অকটেনের ওপর চাপ বেড়েছে। তবে, কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।