(দিনাজপুর২৪.কম) সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে ঔষধি গুণসম্পন্ন ব্ল্যাক রাইস প্রজাতির ধান। ব্যতিক্রমী এই ধানক্ষেত একঝলক দেখতে ভিড় করেন কৌতূহলী অনেক মানুষ। ঔষধি গুণসম্পন্ন এই চালে রয়েছে ভিটামিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড। একই সঙ্গে এই ধানে কপার, জিঙ্ক, ফাইবারের মাত্রাও বেশ। ব্ল্যাক রাইস ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখবে, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ওই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ভারত সীমান্তঘেঁষা ইসলামবাগ গ্রামে এ ধান চাষ করে সবার নজর কেড়েছেন কৃষিপ্রেমী সাদেকুল ইসলাম সুমন। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা। পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিতে আগ্রহ থাকায় ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে গ্রামে ফিরে কৃষিকাজে মন দিয়েছেন তিনি।
কীভাবে ব্ল্যাক রাইসের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখে এ ধানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। পরে ঢাকার গাজীপুর থেকে কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। গ্রামের বাড়ির পাশে ৬০ শতক জমিতে ব্ল্যাক রাইস ধান রোপণ করেন। ২ বিঘা জমি থেকে লক্ষাধিক টাকার ধান বিক্রি করা যাবে বলে জানান সুমন। এ ধান চাষে খরচ কম, ফলন বেশি হওয়াই অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষকদের অনেকেই তার কাছে কালো ধানের বীজ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বিঘাতে ১৫-১৮ মণ ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। উত্তরের অঞ্চলে উর্বর মাটি হওয়ায় উচ্চ ফলনশীলসহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ করে আসছেন চাষিরা। এই ব্ল্যাক রাইস ধানে অতিরিক্ত সার ও পানির দরকার হয় না। সারা দেশের কৃষিজমিতে এ ধান ছড়িয়ে দেওয়া গেলে কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম। অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় এ চাল মূলত ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর জানান, ব্ল্যাক রাইস একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ধান। এ ধান সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।-ডেস্ক