প্রতিনিধি ২০ মে ২০২২ , ২:১৭:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ তাদের যে স্বভাবসুলভ চরিত্র, সবসময় তারা সন্ত্রাস করে; ত্রাস করে ক্ষমতায় যায়। সেভাবেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই অবস্থা তৈরি করে তারা যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং দেশের ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। এমনকি পত্রিকার সম্পাদক ও অর্থনীতিবিদদেরও বিরুদ্ধেও বিষোদগার করেছেন। বিএনপি নাকি রিগিং (কারচুপি) করে ক্ষমতায় আসে এমন কথাও বলেছেন তিনি। তার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি ও নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জনগণকে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ দেয়নি আওয়ামী লীগ। ১৫৪ আসনে বিনা ভোটে নির্বাচিত করে তারা ক্ষমতায় গেছে। একইভাবে ২০১৮ সালেও তারা সারাদেশে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে, নির্বাচন পূর্ব গায়েবি মামলা, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করা; এমনকি প্রার্থীদের বন্দী করা, আদালতকে ব্যবহার করা; এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোটের আগের রাতেই নির্বাচনের ফলাফল আওয়ামী লীগ তাদের পক্ষে নিয়ে চলে গেছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে যখন আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য ও জনপ্রিয়তা ছিল তখনও কিন্তু নির্বাচনেও তারা কাউকে ছাড় দেয়নি। এটা তাদের স্বভাব, এ স্বভাবের জন্য তারা জোর করে সবকিছুতে শক্তি ও বল প্রয়োগ করে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুস করতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৪ বছরের ইতিহাসই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সেই ইতিহাস। তারা একে একে সমস্ত কিছুকে পরিবর্তন করেছে, সংবিধান পরিবর্তন করেছে। সংবিধানের যে মৌলিক ধারাগুলো ছিল সেগুলো পরিবর্তন করে এটাকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে।
ফখরুল বলেন, ৭৫-এ একদলীয় শাসন, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল এই আওয়ামী লীগ। সুতরাং যখন তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনি, তখন এটা হাস্যকর পরিস্থিতিতে দাঁড়ায়। এটাকে প্রতারণা ছাড়া কিছু বলা যায় না।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতার বাইরে ছিল আওয়ামী লীগ; তারপর ক্ষমতায় এসেছিল তারা। সুতরাং ক্ষমতার বাইরে থাকলে পতন হয় না। আমরা হচ্ছি উচ্চগামী ও উর্ধ্বগামী দল; তা প্রমাণ করার জন্য একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার, আর কিছু দরকার নেই আমাদের।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।