প্রতিনিধি ২০ মে ২০২২ , ২:২৯:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) চা চাষিদের ব্যাপক আন্দোলনের পর অবশেষে পঞ্চগড়ে বাড়ানো হয়েছে কাঁচা চা পাতার দাম। গত বুধবার বিকেলে শুরু হওয়া জরুরি সভা শেষে সন্ধ্যায় প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার নতুন মূল্য ১৮ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম। চা চাষি ও বাগান মালিকদের ভেজা ও পানিযুক্ত কাঁচা চা পাতা সরবরাহ বন্ধ করতে শতকরা ১০ ভাগ মূল্য কর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীমতি জয়শ্রী রানী, সদর সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হক, আঞ্চলিক চা বোর্ডের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামিম আল মামুন, স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকনসহ চা বাগান মালিক ও ক্ষুদ্র চা চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।
চা চাষিরা অভিযোগ করেন, মৌসুমের শুরুতে কারখানাগুলো প্রতিকেজি কাঁচা চা পাতা ২২-২৫ টাকা দরে ক্রয় করে। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে তারা কাঁচা চা পাতা কেনা শুরু করে ১২-১৩ টাকা দরে। সেই সাথে কারখানায় আনা চা পাতা থেকে কর্তন করা হয় ২০-২৫ ভাগ। এতে করে কাঁচা চা পাতার দাম পড়ে ১০ টাকার নিচে। অথচ এক কেজি কাঁচা চা পাতায় উৎপাদন খরচ প্রায় ১৭ টাকা।
করতোয়া চা কারখানার প্রতিনিধি শাহ আলম বলেন, নিলাম বাজারে চায়ের দরপতন, গুণগত মান সম্পন্ন চা পাতা সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন কারখানা মালিকরা। চায়ের নিলাম বাজার যখন ভাল ছিল তখন ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে তারা চা পাতা ক্রয় করা হয়েছিল। বর্তমানে নিলাম বাজারে সিলেটের চায়ের থেকে পঞ্চগড়ের চায়ের দাম অনেক কমে গেছে। চা চাষি ও ক্ষুদ্র চা বাগান মালিকরা দু’টি পাতা একটি কুড়ি নীতি না মেনে ওজন বাড়ার জন্য যাচ্ছে। তাই চা পাতা সংগ্রহ করে কারখানায় দিচ্ছেন। এ কারণে চায়ের মান ভাল না হওয়ায় নিলাম বাজারে পঞ্চগড়ের চায়ের দাম কমে গেছে। এসব নানা কারণে চাষিরা কাঁচা চা পাতার প্রত্যাশিত মূল্য পাচ্ছেন না।
সভায় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম কারখানা মালিক পক্ষকে সভার সিদ্ধান্ত মেনে চলার নির্দেশ দেন। অন্যথায় তিনি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন।