(দিনাজপুর২৪.কম) ভারতের আসাম রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বন্যার কারণে আসাম রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৮ লাখ মানুষ। পরিস্থিতি এমন আকার ধারণ করেছে যে, উচু রেললাইনে এসে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৫০০ পরিবার।
জানা গেছে, আসামের চাঙ্গুরাজ এবং পাতিয়া পাথার গ্রামের মানুষ বন্যায় হারিয়েছেন সর্বস্ব। বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে গেছে। ত্রিপল খাটিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। তাদের অভিযোগ, গত পাঁচ দিনে জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের থেকে সেরকম সাহায্য পাওয়া যায়নি। ‘অমানুষিক’ পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
আসামের বন্যা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। ২৯টি জেলার ২৫৮৫টি গ্রামের ৮ লাখ মানুষ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি ঘটছে। এখন পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছেন। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। ভেসে গেছে গবাদিপশু। ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। কয়েক লক্ষ লোক ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্যের ৬টি জেলার শতাধিক গ্রাম পানির তলায় রয়েছে। ৪ লাখের বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছে প্রচুর ঘর বাড়ি। বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে উদ্ধারকাজ চালাতে সেনা সাহায্য নিয়েছে রাজ্য সরকার। বন্যায় রাজ্যের একাধিক রেললাইন ভেসে গেছে। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে একাধিক জেলায়।
এদিকে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ুর একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। পানি জমে গেছে কর্নাটকের একাধিক জেলায়। বেঙ্গালুরু শহরেও প্রবল বর্ষণের কারণে রাস্তায় পানি জমে গেছে। পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কেরালার একাধিক জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। -নিউজ ডেস্ক