• Top News

    হামলা হলে পাল্টা হামলার ‘ঘোষণ’ বিএনপির

      প্রতিনিধি ২৮ মে ২০২২ , ৬:৫৯:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এই রাজপথ থেকেই আমাদেরকে ধাক্কা দিতে হবে। আমাদের ছাত্রদল ঢাকায় তাদের শরীরের রক্ত দিয়ে রাজপথে এই ধাক্কা দেওয়ার আন্দোলন শুরু করেছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সব অঙ্গসংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্রদলের পাশে থেকে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের বিকল্প নেই।
    শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি এবং আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।
    মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার একা হয়ে গেছে। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই। সরকার অত্যন্ত দুর্বল। একটা ধাক্কা দেওয়া বাকি আছে। সেই ধাক্কা দেওয়ার আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে হামলা হয়েছে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি হামলাকারীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তাদের নেত্রী ক্ষমতায় থাকার পরও বিশ্বজিৎ হত্যাকারীরা রেহাই পায়নি। আবরার ফাহাদের হত্যাকারীরা রেহাই পায়নি। আজকের হামলাকারীরা ভবিষ্যতে জনতার আদালতে রেহাই পাবে না।
    সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করে ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে বলেও মন্তব্য করেন মোশাররফ। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ছাত্রদের হাতিয়ার বানিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
    অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আক্রমণের বিপরীতে পাল্টা আক্রমণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। মার খাওয়া একমাত্র কাজ নয়। রক্ত দিয়ে প্রতিবাদের খাতায় নাম লেখালে হবে না। জনগণের বিপক্ষে কথা বললে প্রয়োজনে কারও রক্ত দিয়ে বাধা দিতে হবে।
    ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, “ছাত্রদলের বোনদের ওপর যেভাবে ছাত্রলীগ হামলা করেছে, এটা প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। তিনিও তো একজন নারী। এই বোনগুলো যদি তার মেয়ে হতো তাহলে কি করতেন? ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর চাপাতি, রামদা, লাঠিসোটা ও আগ্নেয় অস্ত্র সহকারে হামলা করা হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা কোথায়? অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান নিশ্চিত করুন।”
    এসময় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ছাত্রদলের উপর হামলার প্রতিশোধ নেয়া হবে। সরকারের পতন ছাড়া যুবদল ঘরে যাবে না। বিকল্প কোনো পথ নাই। রাজপথে আন্দোলনের সামর্থ্য আছে যুবদলের। -অনলাইন ডেস্ক
    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content