(দিনাজপুর২৪.কম) আজদিন হরিস্টিকের ভলি খুঁজে নিল জাল। ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে স্তব্ধ হয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, উচ্ছ্বাসে মাতে অস্ট্রেলিয়া। রেফারি যখন শেষ বাঁশি বাজান, তখনও মাঠের চিত্রটা ছিল একই। কেননা, বাঁচা-মরার ম্যাচে ২-১ গোলের হারে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে আমিরাতের। আর জয়ের সুবাদে কাতারে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে ছেলেরা তাদের সবটা নিংড়ে দেবে- ম্যাচের আগে বড় মুখ করেই এমনটা বলেছিলেন আমিরাত কোচ রোডলফো আরুয়াবারেনা। গুরুর মুখ রেখেছে শিষ্যরা। ম্যাচজুড়ে সকারুদের সঙ্গে সমানে সমান লড়েছে তারা। এমনকি পিছিয়ে পড়েও দ্রুতই সমতা টানে ম্যাচে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি আমিরাতের। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৩ মিনিটে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নেন জ্যাকসন আরভিন। চার মিনিট বাদে আমিরাতকে সমতায় ফেরান কাইয়ো ক্যানেডো। তবে ৮৪ মিনিটে হরিস্টিকের ভলিতে সব আশা শেষ হয়ে যায় তাদের।
হারের কারণে আমিরাতের অপেক্ষা ৩২ থেকে ৩৬ বছরে গিয়ে ঠেকল। এখন পর্যন্ত মাত্র একবারই বিশ্বকাপ খেলতে পেরেছে দলটি। সেটাও ১৯৯০ সালে। সেবার বিশ্বমঞ্চে জয়শূন্য ছিল আমিরাত। অন্যদিকে টানা পঞ্চম এবং সব মিলে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে আর মাত্র একটি জয় প্রয়োজন অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে পঞ্চম হওয়া পেরু। কাতারে একই ভেন্যুতে ১৩ জুন মুখোমুখি হবে দুই দল। যেহেতু শেষ লড়াইটা এখনও বাকি, তাই আরও বেশি সতর্ক থাকছেন গ্রাহাম আরনল্ড।
অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের কোচ বলেছেন, ‘আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আমিরাত ম্যাচের পর আরেকটি বড় উন্নতি আশা করছি আমি। আরেকটি খেলা বাকি আছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে, একটি কঠিন ম্যাচ, কিন্তু আমাদের ভালো প্রস্তুতি ছিল… আমাদের খেলায় সঙ্গতি ছিল এবং আমি আশা করছি যে এই ম্যাচের পর পেরুর বিপক্ষে আমরা আরও ভালো খেলব।’ আরনল্ড যোগ করেন, ‘আমার ফোকাস আমাদের রক্ষণের দিকে ছিল, কারণ আমরা আগের কয়েকটা (ফিফা) উইন্ডোতে গোল খেয়েছি।’ -ডেস্ক রিপোর্ট