(দিনাজপুর২৪.কম) সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে বন্যার পানি কমতে থাকায় মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত কিছু বাড়িঘর থেকে পানি নামছে। তবে ধীরগতিতে পানি নামায় এখনও বেশির ভাগ দুর্গত মানুষের বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে।
অনেকের বাড়িভিটা থেকে পানি নামলেও সেসব স্থান কাদায় পরিপূর্ণ। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকাগুলোতে। ত্রাণ তৎপরতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে ত্রাণের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। ত্রাণের আশায় এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন বন্যাকবলিত মানুষ।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন স্থানে থেকে এখন তারা কাদা পানির মধ্যেই বাধ্য হয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছেন। তবে পানি ও কাদার কারণে তাদের অনেক কষ্ট হবে বলে জানান তারা।
পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাড়ি থেকে একটু মাথা গোঁজার ঠাই নিয়েছিল আশ্রয়কেন্দ্রে। বাড়ি থেকে কিছুটা পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বন্যাকবলিত মানুষ। পানি কমলেও এসব স্থানে বসবাসরত সাধারণ মানুষের এখনও দুর্ভোগ কমেনি। রান্নাবান্না, গবাদিপশু ও শিশু বাচ্চাদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় আয়-রোজগারও বন্ধ।
মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের গন্দিরগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নিজাম উদ্দিন জানান, বিগত কয়েক দিনের বন্যায় আমার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বন্যার পানি কমতে থাকায় পরিবারের লোকজন নিয়ে, গবাদি পশু ও জিনিসপত্র নিয়ে নৌকায় করে বাড়ি ফিরছি। এখনও আমাদের অনেক দুর্ভোগ।
মধ্যনগর বিপি হাইস্কুল এন্ড কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের মধ্যে যারা এই আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছিল তাদের অনেকের ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে, তাই তারা বাড়ি ফিরছেন। যাদের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামেনি, তারা এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে আছে।
এদিকে জেলা পানি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার কমেছে। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি ৭.৯২ মিটার; যা বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। -ডেস্ক