(দিনাজপুর২৪.কম) তথ্য ও সম্প্রচার-মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি এখন মাঠে না, তাদের রাজনীতি এখন রাতের বেলা বিভিন্ন দূতাবাসে যাওয়া, আর লাল-নীল রঙিন পানি খাওয়া। তিনি বলেন, বিভিন্ন দূতাবাসে তারা ঘুরে বেড়ায়, পার্টি করে, ঘরের মধ্যে পার্টি করে।
রোববার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনার কারাবাস দিবসকে স্মরণে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন এই সভার আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কাছে অনুরোধ, আপনারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেন, জনগণের কাছে যান। রাত-বিরাতে এদিক সেদিক গিয়ে কোনো লাভ হবে না। ১৪/১৮ সালে এগুলো করে কোনো লাভ হয়নি। এবারও কোনো লাভ হবে না। দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে এবারও ইনশাআল্লাহ ধস নামানো বিজয় হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এখন আল্লাহর কাছে দোয়া করছে বাংলাদেশটা কেন শ্রীলঙ্কা হচ্ছে না। তারা দেশের কোনো মঙ্গল চায় না। বিদেশিরা আমাদের ব্যাপারে নাক গলাতে চায় না। কিন্তু বিএনপি তাদের নাকটা নিয়ে ওদের কাছে যায়, নাক কাটানোর জন্য। তাদের নাক কাটিয়ে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার জন্য।’
‘আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৪১তম। ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে রিজার্ভ ছিল ৫-৬ বিলিয়ন ডলার। সেই রিজার্ভকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। এখনও ৪০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ, যা দিয়ে ৬ মাস আমদানি করা সম্ভব।’
দুর্নীতি দুঃশাসনকে সমর্থন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি অন্যায়-অনাচারকে দূর করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হলেও তারা সেটি না করে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে। তার কারণ তারা নিজেরাই নানান অনাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ইকবাল মাহমুদ টুকুর অন্যায়ে তার মেয়েকে গ্রেফতার করা হলে শেখ হাসিনা তার প্রতিবাদ করেছিল, বিএনপি করেনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলে প্রতিবাদ করার কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এর অনেক পরে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ। -ডেস্ক রিপোর্ট