(দিনাজপুর২৪.কম) সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘাসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা ছুটি না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। করোনাকাল সঙ্কট শেষ হলে বিদ্যালয় খোলার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাননি সহকর্মীরা। ওই শিক্ষিকার নাম কবিতা রানী সরকার।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কবিতা রানী সরকার ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঘাসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত থাকায় কিছুদিন তার পরিবর্তে প্যারা শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। পরে ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ১১ মার্চ পর্যন্ত চলে যান মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পর মাঝে এক দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আবারও চলতি বছরের ১৩ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক মাসের ছুটি নেন। ছুটি নেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি কবিতা রানী সরকার। বারবার এভাবে ছুটি নেওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম।
ঘাসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে সব শিক্ষকেরা নিয়মিত এলেও আমাদের কবিতা ম্যাডাম দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে না আসায় আমাদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অনেকদিন আগে তিনি বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক লিটন সরকার বলেন, যদিও আমরা এই গ্রামের, প্রধান শিক্ষকও এই গ্রামের তাই আমরা এ বিদ্যালয়ের দিকে নজর একটু কম দেই। কবিতা রানী সরকার যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন টালবাহানা করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়টি নিয়ে সহকারী শিক্ষিকা কবিতা রানী সরকার বলেন, আমার ছুটি শেষ হওয়ার পর আবারও আমি বিনা বেতনে ছুটির আবেদন করি। পরে ওই আবেদন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর করেনি। আমি অসুস্থ থাকার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিশ চন্দ্র সরকার বলেন, কবিতা রানী সরকার বিদ্যালয় থেকে কোনো ছুটি ছাড়া চলে গেছেন। চলে যাওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বংশীকুণ্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুরঞ্জিত দেবনাথ বলেন, আমি ইদানীং শুনেছি যে, কবিতা রানী সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল আউয়াল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কবিতা রানী সরকার বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। যার ফলে ঠিকঠাক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা যাছে না। আমরা তার বেতন অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। -অনলাইন ডেস্ক