প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২২ , ৭:৫৪:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। আজ বুধবার সকালে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ কয়লা উৎপাদন উদ্বোধন করেন। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৮৭ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। ফলে কয়লা সংকটের কারণে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠবে।
তিনি আরও জানান, গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেইজ (কুপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হলে, ওই কুপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে পরিত্যক্ত ফেইজ থেকে নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কার কাজ শেষ করে আগস্টের মাঝামাঝি খনির নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই আজ বুধবার পরিক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে যন্ত্রাংশ সংযোজনসহ সব প্রক্রিয়া শেষে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে প্রায় সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে। খনিতে বর্তমানে ৪০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। আশা করা যায় পুরোপুরি উৎপাদন চালু হলে প্রতিদিন ২৮শ থেকে ৩ হাজার টন কয়লা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে করে দেশের বিদুৎ খাতে যে জাতীয় ঘাটতি তা কিছুটা কমে আসবে।
এ দিকে আগস্টের মাঝামাঝি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সেই সময় কয়লার মজুদ ছিল ৩৬ হাজার টন। যা দিয়ে আগষ্ট মাস পর্যন্ত চলা সম্ভব ছিলো না। ফলে কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছিলো। এতে উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন।
খনি কতৃপক্ষ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় অধিক জনবল নিয়োগ করে নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। এমন খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তি অনুভব করছেন এই অঞ্চলের মানুষ। -অনলাইন ডেস্ক