• Top News

    ৫ থেকে ১১ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

      প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২২ , ৯:৪৫:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের  টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। আদেশে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের রুটিন দায়িত্বে থাকা মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।
    আদেশে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্নের জন্য শর্ত পূরণ ও নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। আদেশে সব অঞ্চলের পরিচালক, উপপরিচালক সকল অধ্যক্ষ, সরকারি ও বেসরকারি কলেজ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
    শর্ত ও নির্দেশনায় বলা হয়, শিক্ষার্থীদের বয়সসীমা হবে ৫ বছর থেকে ১১ বছর (১১ বছর ৩৬৪ দিন)। শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর নেই তাদের অবশ্যই ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে;  সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়। বিদেশি পাসপোর্টধারী শিক্ষার্থীরা সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত “এক্সেল ছকে” নির্ধারিত ফরম্যাটে [email protected] ঠিকানায় তথ্য প্রেরণ করবে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা এমনভাবে প্রণয়ন করবে যাতে কোনও শিক্ষার্থী বাদ না পড়ে।
    প্রতিটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় প্রচারণা ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদেরকে নিয়মিত এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্নে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কাউট/গার্ল গাইডস/রোভার স্কাউট/গার্ল ইন রোভার/রেডক্রিসেন্ট/বিএনসিসি সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োজিত করবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের দল নেই সেগুলোতে নিজস্ব শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে: প্রতিটি প্রতিষ্ঠান টিকাদান কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করবে।  নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।  টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা পরামর্শের জন্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক /উপপরিচালক/জেলা শিক্ষা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দফতরে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যোগাযোগ রক্ষা করবেন বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। -অনলাইন ডেস্ক
    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content