প্রতিনিধি ২ আগস্ট ২০২২ , ৭:৪২:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ (দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট করতোয়া নদীর উপর নির্মিত দুই যুগেরও বেশী সময়ে নির্মিত পুরাতন ঝুঁকি পূর্ন বেইলি ব্রীজ দিয়ে অবাদে চলছে নৈশ কোচসহ শত শত ভারী যানবাহন। সরেজমিন দেখা যায়, গাইবান্ধা পলাশবাড়ী মহাসড়কের সাথে যোগাযোগ সম্পর্কিত হাওয়ায় এই সড়কের গুরুত্ব বেড়ে গেছে অনেক ।দুই পারের কয়েক উপজেলা থেকে অন্তত গড়ে প্রতিদিন পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার মানুষ রিক্সা, সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল, ট্রাক, ট্রাক্টর, প্রাইভেটকার,মাইক্রো,মিনি বাস,পিক-আপ, কর্ভাডভ্যান, ইট বালি বহনকারি ট্রাক্টর,অ্যাম্বুলেন্স সহ শত শত যানবাহন চলাচল করে এই ঝুঁকি পূর্ণ ব্রীজ দিয়ে।
বহু দিনের পুরাতন বেইলি ব্রীজ হওয়ার কারণে বেশ কিছু জায়গায় পাটাতনের নাট খুলে ফাঁকা হয়ে গেছে।যার কারণে মাঝে মাঝেই এখানে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়।তাছাড়া ব্রীজের দুই পার্শ্বে ব্রীজ বিল বোর্ডে ঝুঁকি পূর্ন লেখা থাকা শর্তেও গুরুত্ব পূর্ন সড়ক হওয়ায় মানছে কোন নিয়ম।ফলে যে কোনো সময় ঝুঁকির্পূণ এই বেইলি ব্রিজে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিশেষ করে রাতে যখন সৈয়দপুর,ঠাকুরগাঁ,রংপুর নীলফামারী,কুড়িগ্রাম,গাইবান্দার নৈশকোচ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার জন্য ছেড়ে আসে, তখন পলাশবাড়ী গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের যানজট এড়াতে করতোয়া নদীর উপর নির্মিত এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের উপর দিয়ে শত শত নৈশকোচ ঘোড়াঘাটের আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করছে।ফলে এই ব্রীজ টি আরও ঝুঁকিতে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল কুমার চৌধুরী জানান, দিনের বেলায় ভারী ট্রাক চলাচলের সাথে সাথে রাত ১০ টা থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত চলে শত শত নৈশ কোচ।এতে করে ঝুঁকি পূর্ণ বেইলি ব্রীজটি চরম ঝ্ুঁকির মধ্যে আছে।যখন এই সেতুর উপর দিয়ে ভারী যানবাহক চলাচল করে তখন এর পাটাতনের বিকট শব্দে আশেপাশের অসুস্থ রোগী,শিশু বাচ্চা এবং বৃদ্ধ মানুষরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।তিনি আরও জানান,বেশ কিছু দিন আগে এক দম্পতী মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে ব্রীজের নীচে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলে এক নারীর মৃত্যু ঘটে।এরকম অহরহ ছোট বড় র্দুঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটতেই আছে।এ জন্য পথচারীদের সব সময় আতংকের মধ্যে থাকতে হয়। ব্রিজটি ভেঙ্গে কখন যে কি হয়ে যায়।গুরুত্ব পূর্ণ এই ব্রীজটি ব্যবহারের জন্য তিনি একটি পুর্নাংগ ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।
গাইবান্ধা অধিদপ্তরের আওতাধীন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আকতার জানান,ঝুঁকি পূর্ন এই ব্রীজ টি দিয়ে এভাবে এত গুলো নৈশ কোচ পারাপার হওয়া বিপদজনক। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।তিনি আরও জানান,এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হবে।যাতে তাঁরা দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।