(দিনাজপুর২৪.কম) সারাদেশে শুরু হয়েছে ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। এ সুবাদে রাজশাহী নগরীর ১০টি ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য বিতরণ শুরু করেছেন ডিলাররা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, টিসিবির ডিলাররা জোর করে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে পচা পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য করছেন। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকেই।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, রেলগেট, লক্ষিপুর ও কোর্ট এলাকাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টেই টিসিবির ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে জোরপূর্বক পচা পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগ মিলেছে।
নগরীর বেলদারপাড়া এলাকার মুন্না নামের ভোক্তা জানান, একজন টিসিবির কার্ডধারী ব্যক্তি সর্বোচ্চ এক কেজি চিনি ও দুই কেজি করে তেল, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, তেল ১১০ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা। পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময় সরকার আমাদের স্বল্পমূল্যে টিসিবির পণ্য কেনার ব্যবস্থা করেছেন। এতে আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু টাকা দিয়ে পচা বা নষ্ট খাবার কিনে আমাদের কোনো লাভ নেই, বরং ক্ষতিই। তারপরও ডিলাররা আমাদের বাধ্য করছেন অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পচা পেঁয়াজ নিতে।
এদিকে মাসুদুর রহমান নামের সাগরপাড়ার আরেক উপকারভোগী বলছেন, সরকার স্বল্প উপার্জনকারীদের জন্য যা করছে তা খুবই প্রশংসনীয়। কিন্তু ডিলার ও টিসিবির কর্মকর্তারা সরকারের ভালো কর্মকাণ্ডকে ম্লান করে দিচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা জেলা প্রশাসকের নজর দেওয়া উচিৎ। অন্তত আমাদের পচা পেয়াঁজ কিনতে যেন বাধ্য না করা হয়।
উপকারভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিলাররা বলছেন, টিসিবি থেকে আমরা যা পেয়েছি, উপকারভোগীদের তাই-ই সরবরাহ করছি। একটি পণ্য বাদ রেখে অন্য পণ্যগুলো দেওয়ার কোনো সুযোগই আমাদের নেই। তাই বাধ্য হয়েই ক্রেতারা পেঁয়াজ নিয়ে আবার ফেলে দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এসে হট্টগোল বাধাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে টিসিবি রাজশাহীর অফিস প্রধান শাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, অন্যান্য সময়ের মতো এবারও রাজশাহী মহানগর ও জেলা মিলে প্রায় সোয়া দুই লাখ পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে এসব পণ্য রাজশাহী মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ড এবং জেলার ৯টি উপজেলা এলাকায় বিতরণ করা হবে। শুধু মহানগরেই পেঁয়াজ সংযোজন করা হয়েছে। উপজেলাগুলোতে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে না।
পেঁয়াজের বিষয়ে তিনি বলেন, পেঁয়াজ কাঁচামাল হওয়ায় আমাদের গোডাউনে থাকতেই সামান্য পচন ধরে। এনিয়ে কয়েক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান টিসিবির এই কর্মকর্তা। -নিউজ ডেস্ক