(দিনাজপুর২৪.কম) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, হঠাৎ করে বাড়ানো হলো জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারে দাম কমলেও বাংলাদেশে বাড়ানো হয়েছে তেলের। হঠাৎ করে বাড়ানো হলো জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারে দাম কমলেও বাংলাদেশে বাড়ানো হয়েছে তেলের। এ অবস্থায় বাজারে টিকে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর হবে। পুরোনো অর্ডারগুলোতে প্রচুর লোকসান হবে। অনেক কারখানা নতুন অর্ডার নিতে পারবে না। ফলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
শনিবার (৬ আগস্ট) জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি সময়ের আলোকে বলেন, এই মুহূর্তে কারখানায় গ্যাংস সংকট চলছে। সরকার নির্দেশিত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না ৫-৬ ঘণ্টা। এ কারণে দিনে ৬ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় জ্বালানি তেলও বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, আমাদের হাতে প্রচুর কাজের আদেশ (অর্ডার) রয়েছে। বড় অঙ্কের লোকসান দিয়ে এখন ওই (অর্ডারের) পণ্য উৎপাদন করতে হবে।
ফারুক হাসান আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, ট্রাক ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। এসবের সঙ্গে শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হবে। লোকসান থেকে বাঁচতে চাইলে অনেক কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে ফরেইন এক্সচেঞ্জের (বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময়) ওপর। গত বছর যে রফতানি আয় হয়েছে তার ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক খাতের মাধ্যমে। এ কারণে এখনও মুদ্রাস্ফীতি আমাদের সেভাবে বাড়েনি। কিন্তু নতুন করে জ্বালানির দাম বাড়ায় বিশ্ববাজারে আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। দেশের স্বার্থে এ মুহূর্তে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম স্থিতিশীল রাখা উচিত ছিল। -অনলাইন ডেস্ক