প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২২ , ১:২৬:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ডিজেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে ফসল আবাদের খরচ। এতে আমন মৌসুমে ধান রোপনের বাড়তী খরচের চেপেছে কৃষকের কাধের উপর।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে শ্রাবনের শেষে এসেও জমিতে সেচ দিয়ে অনকে ধানের চারা রোপন করছেন। কেউ কেউ চারা রোপন শেষ করলেও শুকিয়ে যাওয়া জমিতে বাড়তী খরচ করে সেচ দিচ্ছে। কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামে কৃষক হবিবুর রহমান বলেন, পানির অভাবে জমিতে সেচ দিয়ে ধানকে রক্ষা করছে। বেশী দামে শ্রমিক দিয়ে ধান লাগনোর ফলে প্রতি বিঘায় চারা রোপনে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫ শত টাকা।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্র অতিক্রমের সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।
ডাবর ইউনিয়নের উত্তর মহেশপুর গ্রামের কৃষক শরৎ চন্দ্র বলেন, আমি এবার ২ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ আবাদ করেছি। বৃষ্টির অভাবে ক্ষেতে নিয়মিত সেচ দিতে হচ্ছে। ক্ষেতের অবস্থা আপাদত ভাল। দুই-তিন দিনের মধ্যে জমিতে সার ও নিরানি দিতে হবে। এই ভাবে বেশী টাকা ব্যয় করে চাষ আবাদ করলে লোকসান হতে পারে। উপজেলার বলরামপুর গ্রামের পাওয়ার টিলার মালিক সাইলোদ্দীন জানান, পাওয়ার টিলারের সব ধরনের যস্ত্রপাতির দাম বেড়েছে। তেল-মবিলের দামও অনেক বেশী। পাওয়ার টিলার চালকদের বেশী মুজুরি দিতে হচ্ছে বর্তমানে। খুব খাটা-খুটনি করেও আমরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি না। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ আবু জাফর মোঃ সাদেক জানান, অনাবৃষ্টির কারনে জমিতে চারা রোপন করায় কৃষকদের বাড়তি খরচ হচ্ছে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ আবাদ, সুষম মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করলে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে ক্ষেত্রের ফসল উৎপাদন করলে খরচ অনেক কমে আসবে।
কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল হাসান বলেন, আমন মৌসমে সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। চাষ আবাদের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ র্নিবিঘœ রাখতে লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারদের নিয়ে সভা করা হচ্ছে এবং পাশাপাশি সারের মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।