প্রতিনিধি ১৯ আগস্ট ২০২২ , ১২:৪৯:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
(দিনাজপুর২৪.কম) গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করা সেই শিক্ষক দম্পতির ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শাফি মোহাইমেন জানান, গতকাল বিকেলে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দুজনের ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া গেছে। এটা খাবারে বিষক্রিয়া বা অন্য কারণেও হতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে নমুনা ঢাকার সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। দুজনের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ খাইলকুর বগারটেকে প্রাইভেটকারের ভেতরে এ কে এম জিয়াউর রহমান (৫১) ও মাহমুদা আক্তার জলি (৩৫) দম্পতির লাশ পাওয়া যায়। জিয়াউর গাজীপুরের টঙ্গীর শহিদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মাহমুদা টঙ্গীর আমজাদ আলী সরকার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
খাবারে বিষ মিশিয়ে এই দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহমুদা আক্তার জলির বোন তাহমিদা আক্তার ইমা এ দাবি করেন। উত্তরার নসট্রাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার দুলাভাই ও বোনকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। দুলাভাই বাইরের কিছু খেতেন না। অতি আপনজনের কেউ তাকে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাইয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ওসি নন্দলাল চৌধুরী বলেন, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শিক্ষক দম্পতির লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মামলা করা হয়নি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শাফি মোহাইমেন জানান, বিকেলে লাশ দুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দুজনের ফুসফুস ও কিডনিতে জমাট রক্ত পাওয়া গেছে। এটা খাবারে বিষক্রিয়া বা অন্য কারণেও হতে পারে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। -অনলাইন ডেস্ক