(দিনাজপুর২৪.কম) রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পেটানোর প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
গোদাগাড়ীর রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের ঘটনায় গত ১৪ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩২তম সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পেটানোর প্রমাণ তুলে ধরে এই ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলা হয়।
তবে বিধান না থাকায় অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পিটিয়ে আহত করা সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ করেনি এই তদন্ত কমিটি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
সময়ের আলোকে তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। তাতে কলেজ শিক্ষককে পেটানোর বিষয়গুলো উঠে এসেছে। আমরা সেটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। এর বেশি কিছু আর বলা সম্ভব নয়।
এর আগে, ৭ জুলাই রাতে রাজশাহী মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকানাধীন শপিংমল থিম ওমর প্লাজার চেম্বারে এই ঘটনা ঘটে। ওই দিন চেম্বারে ডেকে কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে সাতজন শিক্ষকের সামনেই হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ সময় এমপি ফারুক চৌধুরীর বেপরোয়া লাথি, কিল-ঘুষি ও হকিস্টিকের আঘাতে অধ্যক্ষ সেলিম রেজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে দাগ ও রক্ত জমাট বাঁধে। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে তিনি চিকিৎসা নেন।
যদিও পরে সংবাদ সম্মেলন করে কলেজ অধ্যক্ষ দাবি করেন এমপি তাকে পেটাননি। এগুলো সবই মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র। ওই দিন এমপির চেম্বারে অধ্যক্ষরা একটি বিষয় নিয়ে নিজেরা নিজেরাই মারামারি করেছেন। পরে এমপি তাদেরকে নিবৃত করেছেন। আর তার কথোপকথনের যেই অডিও ক্লিপটি ফাঁস হয়েছে তা তার কণ্ঠ নয়, সেটি সুপার এডিট করা বলেও দাবি করেন এমপি। -ডেস্ক রিপোর্ট