(দিনাজপুর২৪.কম) সারা দেশে হঠাৎ করেই কনজাংটিভাইটিস (চোখের প্রদাহ) রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ‘চোখ ওঠা’ নামে পরিচিত এই রোগে সব বয়সিরাই আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবক সংক্রমণ হওয়ার ভয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। সংক্রমিতরা বেশিরভাগই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে অনেকেই অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে রোগটির সংক্রমণ অধিক। চিকিৎসকরা বলছেন, অধিক মাত্রায় ছোঁয়াচে হওয়ায় এই রোগে আক্রান্ত হলে নিজে সতর্ক হতে হবে। সতর্ক না হলে এ রোগ থেকে কর্নিয়ার আলসার ও অন্ধত্বের মতো গুরুতর অবস্থাও হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
করোনা মহামারির সময় চোখের প্রদাহ দেখা দিয়েছিল। তবে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ তেমনটা নেই। এই সময়ে কোভিড পজেটিভ না হলেও এ রোগ হচ্ছে। তাই একে করোনার কারণে হচ্ছে এমনটা বলতে চাইছেন না জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হলে সচেতন থাকা, বেশি বেশি হাত ধোয়া, সংক্রমিত চোখ/চোখ দুটি বেশি না ছোঁয়া, নিজের তোয়ালে ও প্রসাধনী অন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়া উচিত। এতে অন্যরা আক্রান্ত হবে না। এ ছাড়া চোখে কোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া কারও চোখের প্রদাহ ও জ্বর একই সঙ্গে থাকলে তার করোনা টেস্ট করানো উচিত। সাধারণভাবে এ রোগ সাত থেকে আট দিনে ভালো হয়ে যায়। এ রোগের ক্ষেত্রে সঠিক ওষুধ ব্যবহার না করলে বা চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে অনেক সময় দেখা যায় এটি চোখের কর্নিয়ায় ছড়িয়ে যেতে পারে।
সাধারণভাবে এটি সাত-আট দিনে ভালো হয়ে যায়। তবে কর্নিয়া আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে ১৫-২০ দিনও লেগে যায়। এ ছাড়া এর থেকে আরও খারাপ দিকেও যেতে পারে। তাই কারও এ সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জেনে নেওয়া উচিত, তার কোন ধরনের কনজাংটিভাইটিস। এরপর পরামর্শ অনুযায়ী, চলাফেরা করলে দ্রুতই এ রোগ সারবে।
এ বিষয়ে চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘চোখ ওঠা সংক্রামক হলেও বাতাসে ছড়ায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির চোখের সংস্পর্শে আসা কোনো জিনিস যেমন- চোখে হাত দেওয়ার পর সেই হাত যেখানেই ছোঁয়ানো হয়, টাওয়েল, রুমাল ইত্যাদি অন্যের চোখের সংস্পর্শে এলে তার মধ্যেও ছড়ায়। তাই অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণত আট থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কখনো কখনো এটি কর্নিয়ায় ছড়ায়, এতে কর্নিয়ার আলসার এমনকি অন্ধত্বের দিকে চলে যেতে পারে। -নিউজ ডেস্ক