• ধর্ম ও ইসলাম

    লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

      প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২২ , ৯:৪৯:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    (দিনাজপুর২৪.কম) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ‘লক্ষ্মীপূজা’ আজ। অপরদিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করবে।
    শাস্ত্রমতে, লক্ষ্মী ধনসম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী, বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। লক্ষ্মী বাহন পেঁচা। বিষ্ণু রাম ও কৃষ্ণরূপে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষ্মী সীতা ও রাধা রূপে তাদের সঙ্গিনী হন। কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে ভক্ত গৃহে আসেন। প্রাচীনকাল থেকেই রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ অবধি সবাই দেবী লক্ষ্মীর পূজা দিয়ে আসছেন। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই পূজা করে থাকেন। লক্ষ্মীপূজায় রাত্রি জাগরণ করা হয়। কোজাগরী অর্থাৎ কে জাগরী বা কে জেগে আছো। শাস্ত্র মতে এই রাতে লক্ষ্মী সবার বাড়িতে যান। যে গৃহের দরজা বন্ধ থাকে ও গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে লক্ষ্মী ফিরে আসেন। এ কারণে এই লক্ষ্মীপূজাকে কোজাগরী বলা হয় এবং রাত্রি জাগরণের নিয়ম রয়েছে। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পূজা হয়ে থাকে। গৃহস্থরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পূজা করেন।

     

    এদিকে আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করবে। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হলো সন্ধ্যায় আকাশে রঙিন ফানুস উড়ানো। এই উৎসব এবং মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান (ভিক্ষুদের গেরুয়া রঙের বস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠান) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শনিবার রাষ্ট্রপতি এক বাণীতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘গৌতম বুদ্ধ সারাজীবন একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে শান্তি, মৈত্রী, মমতা, শান্তি ও মানবতার শাশ্বত বাণী প্রচার করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘বুদ্ধের অহিংস বাণী এবং জীবন প্রেম এখনও বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। তার আত্মত্যাগের আদর্শ মানবতায় পরিপূর্ণ।’ -ডেস্ক রিপোর্ট

     

    মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।

    আরও খবর

    Sponsered content