আব্দুস সালাম, হেড নিউজ (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) একাধিক বিয়ে এরপর সর্বস্ব নিয়ে নেওয়াই তার পেশা এমনটাই বললেন, দিনাজপুর বোচাগঞ্জ উপজেলার বড় সুলতানপুর ১ নং নাফানগর ইউনিয়ন সংলগ্ন আবাসন গুচ্ছগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা। চতুর্থ তম স্বামী মো. খান মজিদের সঙ্গে সংসার করার পর দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, সুখে শান্তিতে বেশ ভালোই চলছিলো তাদের সংসার, হঠাৎ করে বাড়িতে রক্ষিত নগদ চার লক্ষ পাঁচ হাজার ছয়শত টাকা, সাড়ে ছয় লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণা অলংকার সতেরো হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের রুপা অলংকার, ছাপান্ন হাজার টাকা মূল্যের তিনটি মোবাইল সেট, সাত হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের একটি এলিইডি টিভি, ছয় হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের সেলাই মেশিনসহ দুটি কন্যা সন্তানকে নিয়ে মোছা. আশা আক্তার পালিয়ে যায়, সর্বস্ব হারিয়ে হতাশায় ভুগছেন মো. খান মজিদ ।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরে শ্বশুর লাইসুর রহমান, শাশুড়ি লিপি বেগম, বোড় বোন রাশেদা বেগম, দুলাভাই দেলোয়ার হোসেন, ছোট ভাই মো. নয়ন, মো. চৌধুরি নামে পরিচিত, সর্বস্ব নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের নিকট জানালে, ভাব, গতি, কথা বার্তায় খান মজিদ বুঝতে পারেন এই ঘটনাটির সঙ্গে তারা সবাই জড়িত, সর্বস্ব লুটার সার্বিক সহযোগিতা করেছে এরাই, এর আগেও তিনজন স্বামীকে একই ভাবে সর্বস্ব নিয়ে প্রতারণা করেছেন তারা, এইভাবে করে স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে সর্বস্ব লুটে নেওয়াই তাদের কাজ, এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক বিভিন্ন মামলাও চলমান রয়েছে। কেউ তাদের অনৈতিক কর্মকা-ের প্রতিবাদ করলেই, খুন, গুম, প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন তারা, ফলে ভয়ে কেহই মুখ খুলেন না।
অলংকার, টাকা, ও জিনিসপত্র উদ্ধার করতে গেলে আবাসন গুচ্ছগ্রাম এলাকার লাইসুর রহমান, লিপি বেগম, মো. চৌধুরি, আশা আক্তার অতর্কিতভাবে হামলা করে মজিদের উপর, এতে করে রক্তাক্ত জখম হন তিনি। কোন উপায় না পেয়ে, ট্রিপল নাইনে কল দিলে বোচাগঞ্জ থানার পুলিশ ওই সময় উপস্থিত হয়, দুই পক্ষের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আপোশ মীমাংসা করে দেন। পুলিশ চলে গেলে আবারও হামলা চালিয়ে মারধর করেন তারা, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বোচাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত ডাক্তার মজিদকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে চারদিন ভর্তি থাকার পর ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে ছাড়পত্র পান। হাসপাতাল থেকে ফিরে চতুর্থ স্বামী মজিদ জানতে পারেন বোচাগঞ্জ থানার পুলিশ লাইছুর রহমান, লিপি বেগম ও আশা আক্তার কে গ্রেফতার করে দিনাজপুর কোর্টে প্রেরণ করেন, যার মামলা নং ৪/ তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ কোর্ট জি আর নং ১২৯/২৩। পরবর্তীতে স্ত্রী মোছা. আশা আক্তারকে জামিনে মুক্ত করে দিনাজপুর শহরের মিশন রোড ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে আসেন মজিদ। ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ আনুমানিক সকাল ১১ টায় পুনরায় দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে আবারও পালিয়ে যায় স্ত্রী মোছা ঃ আশা আক্তার। এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় যার নং ২১৯৫ তাং ৩১/০১/২০২৪