বৃহস্পতিবার , ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

রোজার আগেই আমিরাতে খেজুরের দাম কমলো ৪০ শতাংশ

প্রতিবেদক
admin
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪ ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) পবিত্র রমজান মাস আসলেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চলে পণ্য ছাড়ের প্রতিযোগিত। এদিক থেকে এগিয়ে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কয়েকদিন আগেই দেশটি ঘোষণা দিয়েছিলো রমজানে ১০ হাজার পণ্যের মূল্য কমানো হবে। যদিও রমজান মাস শুরু হতে বাকি আরও কয়েকদিন। এর মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাস আসতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি এবং এর মধ্যেই প্রয়োজনীয় সকল খেজুরই বর্তমানে আরব আমিরাতে প্রায় ৪০ শতাংশ ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। খালিজ টাইমস শারজার ওয়াটারফ্রন্ট মার্কেট ও জুবাইল মার্কেট পরিদর্শন করেছে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় খেজুরের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে দেখতে পেয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বর্তমানে ফিলিস্তিন, জর্ডান এবং সৌদি আরবের মাজদুল খেজুর প্রতি কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ দিরহামে। মাত্র কয়েকদিন আগে প্রতি কেজি এই খেজুরের দাম ছিল ৩০ দিরহাম। একইভাবে, রুটাব খেজুর সাধারণত ৬০ দিরহামে ৩ কেজি কিনতে পাওয়া গেলেও এখন রমজানের আগে ওই একই পরিমাণ খেজুরের দাম কমে ৪৫ দিরহামে নেমে এসেছে।

আজওয়া খেজুরের দাম এখন প্রতি কেজি ৩৫ দিরহাম। যা এই খেজুরের আগের দাম ৪৫ দিরহাম থেকে কম। আর বাজেট-সচেতন ক্রেতারা সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে ইরান থেকে আসা জাইদি খেজুর কিনতে পারছেন। কেজি প্রতি ৫ দিরহামে এই খেজুর কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াটারফ্রন্ট মার্কেটের ১৩০ নম্বর স্টলে খেজুর বিক্রেতা মোহাম্মদ রইস বলছেন, বর্তমানে ডিসকাউন্ট মূল্যে শুকনো ফল দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে, মাজদুল খেজুরের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। আমরা প্রতিদিন ১০০ কেজির বেশি খেজুর বিক্রি করছি এবং আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহে প্রতিদিনের বিক্রির পরিমাণ ৫০০ কেজি ছাড়িয়ে যাবে।’

মোহাম্মদ রইস আরও বলেন, ‘বাজারের সকল খেজুর বিক্রেতাই এই শক্তি-সমৃদ্ধ ফলটি ডিসকাউন্টে (ছাড়কৃত মূল্যে) বিক্রি করছে এবং বহু মানুষ অল্প দামে খেজুর কিনে এই সুবিধা নিচ্ছেন।’

খালিজ টাইমস বলছে, রমজান শুরু হওয়ার আগে বাসিন্দাদের এখনই খেজুর মজুদ করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করার সময়োপযোগী সুযোগ রয়েছে।

ওয়াটারফ্রন্ট মার্কেটের বিক্রেতা আনজিল এস বলেন, ‘আমাদের কাছে বর্তমানে ৩০ টিরও বেশি জাতের খেজুর রয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে আমরা বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে আরও বিভিন্ন জাতের খেজুর আনার আশা করছি। আগামী সপ্তাহগুলোতে চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাসিন্দারা ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির আশা করতে পারে।’ উল্লেখ্য, রমজান মাসে খেজুর খাওয়ার বিশেষ এবং প্রধান কয়েকটি তাৎপর্য রয়েছে। মূলত খেজুর ইফতারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কাজ করে। ঐতিহ্যগতভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করতেন।

এছাড়া মিষ্টি এবং পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এই ফল সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদারদের শরীরে দ্রুত শক্তিও বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা পূরণ করতে সাহায্য করে। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - আইন আদালত