বৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ ২০২৪ | ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

লোডশেডিংয়ের সঙ্গে গ্যাস সংকটে নাকাল গ্রাহকরা

প্রতিবেদক
admin
মার্চ ১৪, ২০২৪ ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) রোজার প্রথম দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং হয়েছে। এমনকি ইফতার ও তারাবির সময় হচ্ছে লোডশেডিং। গরম যত বাড়ছে, লোডশেডিংও তত বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জ্বালানি সংকটের কারণে চাহিদার পুরোটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া চলছে সেচ মৌসুম। এ কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। রমজানে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ইফতার ও তারাবির সময় তাই তেলভিত্তিক কেন্দ্র চালানো হচ্ছে। তার পরও এই দুই সময়ে লোডশেডিং হচ্ছে।

রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীর অনেক এলাকায় গ্যাস সংকটের খবর পাওয়া গেছে। অনেক এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুপুরের পর থেকে গ্যাস থাকছে না বা থাকলেও চাপ একেবারেই কম। ফলে অনেককেই ইফতার কিনে খেতে হচ্ছে। দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি বন্ধ থাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। চলতি মাসের শেষে এলএনজি টার্মিনালটি ফের চালু হবে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তীব্র লোডশেডিংয়ের সঙ্গে গ্যাস সংকটেও নাকাল গ্রাহকরা। রাজধানীর ফার্মগেট, তেজকুনি পাড়া, ভুতের গলি, রামপুরা, খিলগাঁও, গোড়ান, মগবাজার, মালিবাগ, পুরান ঢাকার নারিন্দা, ওয়ারী, ধুপখোলা, মিরপুর এলাকায় রমজানের প্রথমদিন বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সংকট ছিল। এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, দুপুরের পর থেকে গ্যাসের চাপ একেবারেই থাকে না। তাই ইফতার ঘরে তৈরি না করে বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। অনেক এলাকায় সকালেও চুলা জ্বলছে না। চাপ কম থাকায় সিএনজি স্টেশনগুলোতে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, একটি এলএনজি টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এটি চালু হতে পারে। তখন গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। সে সময় বিদ্যুৎ খাতে ১১০ থেকে ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য খাতেও সরবরাহ বাড়বে।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত জানুয়ারির মাঝামাঝিতে সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয়। বলা হচ্ছে, ২৫ মার্চ এটি চালু হবে। টার্মিনালটি চালু হলে গ্যাস সরবরাহ বাড়বে। এর আগ পর্যন্ত গ্যাসের সংকট থাকবেই।

মঙ্গলবার পেট্রোবাংলার গ্যাসের উৎপাদন ও সরবরাহ চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এদিন দেশে গ্যাসের উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ২৩৯ মিলিয়ন ঘনফুট। আর এলএনজি সরবরাহ হয়েছে ৬১৩ মিলিয়ন ঘনফুট। সব মিলিয়ে মোট গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৬৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে বিদ্যুতে ২ হাজার ৩১৬ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে ৮৮২ মিলিয়ন ঘনফুট, যা অর্ধেকেরও কম। সার উৎপাদনে ৩২৯ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে ১৬৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এ ছাড়া শিল্প-কারখানা ও বাসা-বাড়ি মিলিয়ে বাকি ১ হাজার ৫০৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস