(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ভয়াবহ এই হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।
আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এছাড়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গাজার পৃথক দুটি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েল এই হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ২৯ নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গাজা উপত্যকায় দুটি আলাদা হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে প্রথম হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি এবং অপর হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, প্রথম ঘটনায় মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত ক্যাম্পে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।
এরপর দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তর গাজার একটি গোলচত্বরে ত্রাণবাহী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ে ইসরাইলি বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে অন্তত ২১ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আহতরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে মেঝেতে পড়ে আছে। দুর্বল চিকিৎসা সক্ষমতার কারণে চিকিৎসা সেবা দানকারী দলগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অক্ষম। অবশ্য ত্রাণ কেন্দ্রে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। একইসঙ্গে হামলার এসব রিপোর্টকেও ‘মিথ্যা’ বলে বর্ণনা করেছে তারা। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, যেহেতু আইডিএফ সকল ঘটনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খতার সাথে মূল্যায়ন করে, আমরা মিডিয়াকে একই কাজ করার এবং শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ওপর নির্ভর করার আহ্বান জানাই।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৩৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭২ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৩ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি। অমানবিক এই হত্যাকাণ্ডের পরেও এটাকে গণহত্যা বলতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা। -নিউজ ডেস্ক