(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের আর্ট গ্যালারি মোড়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ অপরাজেয়-৭১’র স্থাপনা চুরি শুরু হয়েছে। সেখানকার মেইন গেট, সীমানা প্রাচীর গ্রিল ও কয়েকলাইন ইট ইতোমধ্যেই চুরি হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্মৃতিসৌধটি শহরের টাঙ্গন নদীর তীরে অবিস্থত। প্রতিদিন কয়েকশ’ দর্শনার্থী সেখানে ভিড় জমান, আড্ডা দেন। প্রত্যেক জাতীয় দিবসে সেখানে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। এছাড়াও সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানে স্মৃতিসৌধের চারপাশের প্রাচীরের কয়েক সারি ইট, মেইন গেট ও লোহার গ্রীলগুলো কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও উত্তর পাশের প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়েছে। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও মেরামত করা হয়নি স্মৃতিসৌধের স্থাপনাগুলো। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ঠাকুরগাঁওবাসী।
৭১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট অপরাজয় ৭১’র বেদীর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৯৭৬ বর্গফুট। বেদীতে ৬টি ধাপ ও সিঁড়ি স্থাপন করা হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘অপরাজেয়-৭১’ এর অর্থায়ন করে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও। ২০১১ সালের ২৬ মার্চ স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০১২ সালের ২৫ মার্চ এটার নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন স্মৃতিসৌধটির উদ্বোধন করেন। জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবাশীষ দত্ত সমীর বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। রাতের আঁধারে হয়তো কেউ এগুলো চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি এবং এ চুরির সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে জানিয়েছি। সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর বলেন, চুরির দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কোন পক্ষ মেরামত বা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে এ ব্যাপারে জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, চুরির বিষয়টি দেখেছি। তবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।