(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) আমি এবং আমার বোন শেখ রেহানা জনগণের স্বার্থে আমাদের সব সম্পত্তি ট্রাস্টকে দান করে দিয়েছি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার (৩ এপ্রিল) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজের ব্যবস্থাপনা টিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী, তার সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে দারিদ্র্য হারের পাশাপাশি শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলো নিশ্চিত করার জন্য আমরা সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। এর ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শিল্পাঞ্চলে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যাতে এলাকার শ্রমিক ও মানুষ সহজে মেডিকেয়ার সুবিধা পেতে পারে।
হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এবং আমার বোন শেখ রেহানা জনগণের স্বার্থে আমাদের সব সম্পত্তি ট্রাস্টকে দান করে দিয়েছি। আমাদের কেউ নেই এবং আমরা জনগণের কল্যাণে আমাদের সম্পত্তি দান করেছি।’
এক সময় বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র এবং স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল বলে স্মরণ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছি।’ ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদ দ্বারা পরিচালিত হয়, যেটি মালয়েশিয়ার একটি বিখ্যাত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা। কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদের বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ২৯টি হাসপাতালের একটি চেইন রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে নামকরণ করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত ২৫০ শয্যার বিশ্বমানের এই হাসপাতালটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানুষের সেবা করে আসছে।
এটি বাংলাদেশে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইএমএস) প্রত্যায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে পরিণত হয়েছে, যা রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা লাভের আস্থা সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্যুরো ভেরিটাস ২০১৭ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অবদানের জন্য হাসপাতালটিকে পুরস্কৃত করে। -নিউজ ডেস্ক