(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) গাজীপুরের জয়দেবপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের কারণে একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও ময়মনসিংহগামী ট্রেনের শিডিউল ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি ট্রেন দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরিতে চলছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে দৈনিক ৫৩টি ট্রেন ছেড়ে গেলেও মাত্র ৪টি ট্রেন সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে। বাকি অর্ধশত ট্রেনের অধিকাংশ ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে যাচ্ছে।
রেলস্টেশনে সময়সূচিতে দেখা গেছে, রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় সাত ঘণ্টা বিলম্বে রয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের এ ট্রেন এখনো ঢাকা থেকে ছাড়তে পারেনি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, পশ্চিমাঞ্চল ও ময়মনসিংহগামী প্রায় সব ট্রেনই দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিলম্বিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, গতকাল জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর দ্বিতীয় লাইনটি পুনরুদ্ধার করতে না পারায় উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেনগুলো জয়দেবপুরে সিঙ্গেল লাইন ব্যবহার করছে।
আজকের মধ্যে দ্বিতীয় লাইন পুনঃস্থাপনের বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানান তিনি।
দুপুরে কমলাপুর স্টেশনে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। রংপুর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী জানান, সকাল ৯টার ট্রেন ধরার জন্য সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছেন তিনি। তবে দুপুর আড়াইটাতেও ট্রেন পাননি। এই তীব্র গরমে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দক্ষিণে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার এখনও উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। এদিন বিকেল ৪টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। আজ শনিবার সকাল ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাজ চলছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এই সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রেললাইনে ট্রেন চলাচল প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। এ ঘটনায় দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হন। এ ছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি অপসারণ করে পাশের স্টেশনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যদিও উদ্ধার কাজ প্রায় শেষের পথে বলে জানিয়েছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের প্রধান স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী। -নিউজ ডেস্ক