শনিবার , ১৮ মে ২০২৪ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

আর কদিন পরেই বাজারে আসছে দিনাজপুরের লোভনীয় টসটসে লিচু

প্রতিবেদক
admin
মে ১৮, ২০২৪ ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) সারাদেশে স্বাদে ও রসে এগিয়ে দিনাজপুরের লিচু। টুকটুকে লাল রঙ আর রসালোর স্বাদের জন্য দিনাজপুরের লিচুর কদর সর্বত্র। এর মধ্যে বেদানা লিচুর চাহিদা সব থেকে বশি। মৌসুম এলেই এই লিচুর জন্য অপেক্ষায় থাকেন সবাই। জানা গেছে, ৭ থেকে ১০ দিন পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু। গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লালচে গোলাপি ও সুবজ রঙের লিচু। তবে এখনো অতিরিক্ত তাপদাহে গাছেই লিচু নষ্ট হাওয়ার আশঙ্কা করছে চাষিরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে বাগানের গাছের গোড়ায় পানি ও লিচুর গাছে ছিটানো হচ্ছে কীটনাশক।

দিনাজপুর চাল ও লিচুর জন্য বিখ্যাত। তবে লিচুর রাজ্য হিসেবে দিনাজপুরের আলাদা সুনাম রয়েছে। ১৩টি উপজেলাতেই কম বেশি লিচুর আবাদ হয়। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সদর উপজেলার মাসিমপুর, উলিপুর, আউলিয়াপুর, মহব্বতপুর, বিরলের মাধববাটি, করলা, রবিপুর, রাজারামপুর, মহেশপুর, বটহাট এবং চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলায়। মূলত লিচু চাষের জন্য উপযোগী এ অঞ্চলে লিচু চাষে কৃষকের আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দিনাজপুরে লিচু চাষে জমির পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার ৪৮৯ হেক্টর। জেলায় লিচু বাগানের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। প্রায় ১৩ উপজেলায় লিচু চাষ হলেও সদর, বিরল ও চিরিরবন্দর উপজেলায় লিচুর চাষ বেশি।

সদর উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামের লিচুচাষি ইয়াকুব আলী বলেন, আমার দুটি বাগানে শতাধিকের বেশি লিচু গাছ আছে। প্রতেকটি গাছে লিচুর ফলন মোটামুটি গতবছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে বাজরে তুলতে পারব। আশা করছি এবার লিচুর দাম ভালো পাব।

একই এলাকার আরেক লিচুচাষি বীনয় মহন্ত বলেন, আমার বাগানে লিচুতে রং চলে আসছে। সামনের সপ্তাহে লিচু বাজারে বিক্রি করতে পারব। অতিরিক্ত গরমের কারণে লিচু ফেটে যেতে পারে। এখন লিচুর গাছে পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহারা সুলতানা বলেন, দিনাজপুরে লিচু বাজারে আসে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। জেলার ১৩টি উপজেলায় লিচুর চাষ হলেও চিরিরবন্দর বিরল ও সদর উপজেলায় সবচেয় বেশি লিুচ চাষ হয়। এ উপজেলায় প্রায় ৪৭৫ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। আগাম জাতে লিচুর হিসেবে বাজারে আসবে মাদ্রাজি ও বোম্বাই তারপরে আসবে বেদানা, চায়না থ্রি ও কাঠালি। জেলায় তাপপ্রবাহ বেশি থাকায় লিচু গুটির ক্ষতি হয়েছে। লিচু যেন গাছে নষ্ট না হয় সেজন্য মাঠ পার্যায়ে কৃষকদের গাছের গোড়ায় ও লিচুর গাছে বেশি বেশি পানি স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস