(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা ও বাধার প্রতিবাদে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচির পালনে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে ফের রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে সন্ধ্যায় শাহবাগ ছেড়ে যান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। প্রায় একঘণ্টা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে যায়। শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে বসে পড়েন। এরপর শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে-ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।
হামলার বিচার দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে হামলা করেছে পুলিশ। এ হামলার প্রতিবাদে আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। অবিলম্বে এ হামলার বিচার করতে হবে। দ্রুতসময়ের মধ্যে সব গ্রেডের সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে হবে। উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন। পরে ১০ জুলাই হাইকোর্টের দেয়া রায়ে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। -নিউজ ডেস্ক