(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ঠাকুরগাঁওয়ে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে মাহাবুব ইসলাম গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনের কথা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রুমানা ফেরদৌস। রোববার (২৮ জুলাই) বিষয়টি ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল শনিবার রাতে মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগী নারী। মামলার আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ বদলীবাড়ি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মাহাবুব ইসলাম (৫২), মাহাবুব ইসলামের ছেলে তাহসিন (২২), আব্দুস সামাদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), মাহাবুব ইসলামের মেয়ে তাসনিম আক্তার (২৫), মাহাবুব ইসলামের স্ত্রী ইসমত আরা (৪৫)।
অভিযোগে জানা যায়, রোমানা ফেরদৌস (৩৮) বাবার বাড়িতে মেহমান খাইতে আসেন। গত ২৩ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ময়লা ফেলানোর জন্য বাড়ির পাশে বাবার ভোগদখলীয় সুপারি বাগানে গেলে মামলার আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায় বিবস্ত্র করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকেন। এতে গুরুতর জখম হয় ওই নারী। এসময় ওই নারীর চিৎকারে তার স্বামী এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে। এতেও ক্ষান্ত হননি আসামিরি। পরে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ওই নারীর বৃদ্ধ বাবার উপর হামলা চালায় তাঁরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করার চেষ্টা করলে তাদেরকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের।
মামলার বাদী রুমানা ফেরদৌস বলেন, সন্ত্রাসী চক্রটি এর আগেও আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ থানায় অভিযোগ করেছিলাম। তারা একের এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তারা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে আসছে। তাদের কঠোর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মামালার আসামিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন বলেন, বাদী পক্ষ অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -ডেস্ক রিপোর্ট