ছেলেটাকে কি চেনো? না চিনলে শোনো-
কবি আলমাহমুদের ভাষায় বলতে হয়-
কালো সে তারিখ, কালো সে ওয়াক্ত!
বৃষ্টি কোথায় বৃষ্টিতো নয়! আবুসাঈদের রক্ত! আবুসাঈদের সহযোদ্ধাদের রক্ত!
পুলিশ কে? আমার ভাই, বিজিবি কে? আমার ভাই, সেনাবাহিনী কে? আমার ভাই, দলীয় কে? আমার ভাই, প্রধানমন্ত্রী কে? আমার সকল আশা; বিরোধী কে? আমার কথা বলার ভাষা; ভিন্ন মতের, ভিন্ন পথের, ওরা কে? আমার ভাই, তবে কেন রক্তচোষা? ভাই হয়ে ভাইয়ের রক্ত খাই?-যার গেলো সেইতো বোঝে-বিরোধীরা শুধু লাভই খোঁজে-আর কত রক্ত দেবো মা তোমায়-
আমরা কি “মা” নই তোমারই ভক্ত? কত তিতুমীর, কত ঈসা খাঁ-আপোষহীন, আপোষহীন শিক্ষা মহররম আর কারবালা!
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার-তবুও কেন এখনো রক্ত ঝরা? বর্গীরা নেই, পাকিরাও নেই-তবে দেশজুড়ে ওরা কারা? বাজ পাখীর মতো ছোবল মারে-
মা হয় সন্তান হারা, পিতা হয় পুত্র হারা!
কেহ বলো কোটা বিরোধী, কেহ বলো কোটার পক্ষে! কেহ আবার আমজনতা, কারো আবার দলীয় লেবাস বক্ষে? মা কি বোঝে লীগ, দল, জামাত, শিবির মৈত্রী-তার যে জঠরের ধন-তার কেন এই দুর্গতি! বের হয়েছে ছেলে-মেয়ে আনবে আলো ঘরে! সেই যে গেলো- কেন ফেরে না সূর্য ডোবার পড়ে? মা-বাবা কেন কেঁদে মরে, মর্গে মর্গে ঘুরে! পড়ে আছে শত বেওয়ারিশ লাশ, লাশ কাটার ঐ ঘরে! তোমাদের বুঝিনা মতি গতি! আর কত খুন ঝরলে হবে তোমাদের সুমতি! এখনো কেন ঘুমিয়ে আছো দেশের যারা কর্ণধার? তোমার ভাইয়ের, তোমার বোনের, তোমার কন্যা, তোমার ছেলের-মৃত্যু হলে, মার খেলে, তোমার কিসের গর্ব, কিসের থাকলো অহংকার?
হিজরী সনের প্রথম মাসে-বাংলা কেন কারবালা? কই এখানে নেইতো ফোরাত নদী? কই, নেই এখানে ঐ সে নদী দজলা? কোথা থেকে এলো পামর সীমার? এজিদ, এলো কবে কোথা থেকে? কেন এতো কাটা-কাটি? ওগো দেশপ্রেমিক, শান্তির ঝাণ্ডা উড়িয়ে এসো, এসো হে কাণ্ডারী-বাঁচাও এ দেশ, বাঁচাও দেশের মানুষ, মা ও মাটি। এসো হে বীর, ত্বরা করে এসো-এসো হে মানুষ খাঁটি। আর কত অপেক্ষা-তিপ্পান্ন বছরেও মনের হয়নি উন্নতি! নফল নিয়ে মারামারি, ফাটা-ফাটি! তবে, ফরজ পালনের কি গতি? নিজেকে চেনো, অন্যের যা প্রাপ্য, ষোল আনা দিয়ে দাও, দম্ভ অহমিকা ঝেড়ে ফেলে মাটির মানুষ, মাটির মতো হয়ে যাও।।