স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুর জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটের কারণে দিনাজপুর থেকে সারা দেশের সাথে অনির্দিষ্টকালের জন্য দুরপাল্লার কোচ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রিরা।
দিনাজপুর জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলে রাব্বি জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ দিনাজপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সালাহ উদ্দীন আহমেদ ৩ দিনের মধ্যে শহরের কালিতলা হতে কোচ স্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার জন্য মৌখিকভাবে জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নকে অবহিত করেন। তাড়াহুড়া করে ৩ দিনের মধ্যে কোচস্ট্যান্ড সরানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ট্রাফিক পুলিশ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল থেকে শহরের প্রবেশপথে দুরপাল্লার কোচ প্রবেশে বাধা প্রদান করে। এ খবর পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে পরিবহন শ্রমিকরা তাৎক্ষনিক দিনাজপুর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে কোচ চলাচল বন্ধ করে দেয়।
মটর পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলে রাব্বি আরো জানান, শহরে ট্রাক, ট্রাক্টর, পিকআপ ভ্যান, কাভার্ডভ্যান, অটোবাইকসহ অন্যান্য সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারলেও দুরপাল্লার কোচ চলাচল করতে পারবে না কেন? এটা মটর পরিবহন শ্রমিকদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ যা আমাদের কাম্য নয়। তিনি বলেন, আমরা পৌর প্রশাসকের সাথে দেখা করতে চাইলেও পৌর প্রশাসক সালাহ উদ্দীন আহমেদ আমাদের দেখা করবেন না ও কোন কথাও বলবেন না বলে জানান।
শ্রমিক নেতা ফজলে রাব্বি জানান, দিনাজপুর জেলা শহরের যানযট নিরসনের কথা চিন্তা করে গত ০২-০৯-২০২৩ ইং তারিখ দিনাজপুর জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কালিতলা এলাকা থেকে কোচ কাউন্টার অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পত্র দেওয়া হয়। ওইপত্রে দিনাজপুর জেলায় স্থায়ীভাবে কোচ স্ট্যান্ড তৈরী করে কোচগাড়ী চলাচল, যাত্রী সাধারণ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
ফজলে রাব্বি বলেন, আমরা কোচ চলাচল বন্ধ করিনি। আমাদেরকে কোচ চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ৩ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। এগুলো হলো-দিনাজপুরে অতি দ্রুত কোচ স্ট্যান্ডের জন্য স্থান নির্ধারণ করা, স্থান নির্ধারণের আগ পর্যন্ত কালিতলায় কোচ স্ট্যান্ড থাকবে ও কালিতলা এলাকার যানজট নিরসনে শ্রমিক ইউনিয়ন নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
শ্রমিক নেতা ফজলে রাব্বি জানান, আমাদের এই দাবি দ্রুত না মানলে প্রয়োজনে আরো বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।