মঙ্গলবার , ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

দিনাজপুরের পার্বতীপুর মম্মথপুর আইডিয়াল কলেজে অধ্যক্ষ লাঞ্চিত

প্রতিবেদক
admin
অক্টোবর ২৯, ২০২৪ ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ৫ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করলে দেশে শুরু হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সমাজ সংস্কার ও বৈষম্য নিধন কর্মসূচি। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন শিক্ষকদের আপসারনের হিড়িক পড়ে। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ব্যানারে ঢুকে পড়ে ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনী। তারা অসদুদ্দেশ্যে ও অর্থের লোভে বিভিন্ন সৎ ও ন্যায়পরায়ণ শিক্ষকদের আপসারনের চেষ্টা চালায়। মম্মথপুর আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো: আমিনুর রহমানের সাথে এমনি এক ঘটনা ঘটে।

যারা ২৫.০৮.২০২৪ তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে অধ্যক্ষের অপসারণের চেষ্টা চালায়, তারা প্রায় প্রত্যেকে আওয়ামী ফেসিস্ট সরকারের দোসর ও ছাত্রলীগ – যুবলীগ কর্মী। এদের মধ্যে অন্যতম জিয়াউর রহমান রাজু ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সেক্রেটারি, রাসেল রানা ছাত্রলীগ কর্মী, মাসুদ রানা পলাশ ছাত্রলীগের সক্রিয় সন্ত্রাসী, ও তানভীর হোসেন প্রধান ভূমিকায় ছিল। তারা কেউই শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে সচেস্ট নয়। তারা আন্দোলনের নামে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে,অধ্যক্ষের পকেট ও ড্রোয়ার থেকে টাকা ছিনতাই করে নেয়, ক্যাম্পাসে ভাংচুর ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়, কলেজ শিক্ষার্থীদের মারধর করে, প্রায় সবগুলো সিসি ক্যামেরা ও ফ্যান ভেঙ্গে ফেলে ও চুরি করে নিয়ে যায়, যার ফলে আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়। এ সকল সন্ত্রাসীরা কেউই উক্ত কলেজের শিক্ষার্থী নয়। এমনকি বেশিরভাগই অছাত্র।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের অর্থ ও মদত দিয়ে বদ উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির গুটিকয়েক শিক্ষক। তাদের মধ্যে অন্যতম গোলাম মোস্তফা, যিনি নৈতিক স্খলন ও নারী কেলেংকারীতে বারবার অভিযুক্ত হয়ে চূড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত হন। তিনি মূলত নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগেই নিজ পদ হারান। অন্যদিকে ইসলামের ইতিহাস এর শিক্ষক এস এম মোস্তাক অধ্যক্ষকে নারী কেলেংকারীতে ফাসানোর চেস্টা করেন এবং অধ্যক্ষ পদের প্রতি লোভী হয়ে ওঠেন। এছাড়াও মাখন মৃধা, আফজাল হোসেন, নূরে আলম সহ কতিপয় শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থকে চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেন। অধ্যক্ষ মো: আমিনুর রহমান কলেজ প্রশাসন ও একাডেমিক কার্যক্রম এর ব্যাপারে সর্বদা দৃঢ় ও কঠোর ছিলেন। এজন্য উক্ত অভিযুক্ত শিক্ষকগণ অনিয়ম করার সুযোগ পাননি। কিন্তু তারা আওয়ামীলীগ পন্থী হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে অধ্যক্ষকে দলীয় ভয়ভীতি দেখান।

উক্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বহিরাগতদের মধ্যে আবুল হোসেন, ওয়াহেদ এসআই সন্ত্রাসীদের অর্থ দিয়ে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা ১৯৯৮ সালে কলেজের নামে একটি জমি দান করেন যা তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ছিলোনা বরং তারা কলেজের সাথে প্রতারণা করেছেন। পরবর্তীতে কলেজকে উক্ত জমি মূল মালিকের কাছে ক্রয় করতে হয়। যার কারণে আবুল হোসেন ও ওয়াহেদ দারোগা পরিবার দাতা সদস্য হওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এরই জের ধরে প্রতারণাকারী আবুল হোসেন ও ওয়াহেদ দারোগা অধ্যক্ষের অপসারণের জন্য ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের সাথে আর্থিক চুক্তি করে।

সেই মেধাবী যুবক আজ মাঝবয়সী অধ্যক্ষ চাকরি জীবনের শেষ প্রন্তে এসে পৌছেছেন। সাবেক শিক্ষার্থী, বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কলেজ কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় সুশীলদের একটাই আক্ষেপ সন্ত্রাসীরা কেন তাদের প্রিয় সৎ, যোগ্য, ন্যায়পরায়ণ, ও নানাভাবে সম্মানিত শিক্ষককে অসম্মানিত করলো? তারা কেন একজন শিক্ষকে মারধর ও লাঞ্চিত করলো? তারা যদি সৎ মনোভাবের হতো তবে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতো, বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি তৈরি হতো। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার এ অধিকার তারা পেলো কোথায়? সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো অধ্যক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। তারা প্রশাসনের সামনে একটি দুর্নিতিও প্রমাণ করতে পারেনি। প্রশাসন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সকলের অনিচ্ছায় এ সন্ত্রাসী তৎপরতা চলে। তারা শেষপর্যন্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগপত্র গ্রহনে ব্যর্থ হয়।

পদত্যাগ ত্যাগপত্র গ্রহনে ব্যর্থ হওয়ার পরেও তারা কলেজে এসে কলেজদখলের মতো পরিবেশ তৈরি করেছে। তারা ইচ্ছামতো ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতেছে, অধ্যক্ষ্যের কক্ষে তালা দিচ্ছে, অফিশিয়ালদের মারধর করতেছে, শিক্ষার্থীদের ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। একাজে কলেজের শিক্ষক এস এম মোস্তাক সাহায্য
করতেছে তার একটাই উদ্দেশ্য অধ্যক্ষ হতেই হবে। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন তদবির ও তোষামোদি করে অধক্ষের চলতি দায়িত্ব পেয়েছেন, যেহেতু অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান ছুটিতে আছেন। এস এম মোস্তাক কলেজের বর্তামান কমিটি বাতিল ও কলেজের ব্যাংক একাউন্টহোল্ডার পরিবর্তন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন,যা কলেজের জন্য হুমকিস্বরূপ। আজ স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি ধংসের পথে, এখানে পড়াশুনা হচ্ছেনা, শিক্ষার্থী উপস্থিতিও অনেক কমেছে। তাই শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও কলেজ কমিটির একটাই চাওয়া তাদের প্রিয় অধ্যক্ষ অবিলম্বে ফিরে আসুক আর কলেজটিকে ধংসের হাত থেকে রক্ষা করুক। এ ব্যাপারে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তা চায়। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - রাজনীতি