সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার চিঠিতে সাড়া দেবে কি দিল্লি?

প্রতিবেদক
admin
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ ৬:০৭ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) প্রায় সাড়ে চার মাস আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। গত আগস্ট থেকে বিভিন্ন সময় শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার প্রসঙ্গ উঠলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে কোনো দাবি জানানো হয়নি। তবে এবার কূটনৈতিক চিঠি দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফেরত চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

তবে এবার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ঢাকার এই চিঠিতে কতটা সাড়া দেবে দিল্লি? শুধু বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে দিল্লি ফেরত দেবে না বলে আগেই আভাস দিয়েছেন কূটনীতিকরা। যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার স্বার্থে ভিন্ন পথও বেছে নিতে পারে দেশটি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে (হাসিনা) ফেরত চায়—জানিয়ে আমরা ভারত সরকারের কাছে একটি নোট ভারবাল (কূটনৈতিক বার্তা) পাঠিয়েছি।’

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ঢাকা ফেরত চেয়েছে বলেও জানান তৌহিদ হোসেন।

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমও জানিয়েছিলেন- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে এবং এই চুক্তির আওতায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

এদিকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে ভারত। সোমবার দিল্লিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

Hasina

ব্রিফিংয়ে রণধীর জায়সওয়াল বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে, আজ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে একটি কূটনৈতিক চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে (শেখ হাসিনাকে) প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।

ভারত কি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে?

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্ন উঠছে- শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ চাইলেও কি ভারত ফেরত দেবে? শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন বলেই দেশটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। এই অবস্থায় বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত দিতে বাধ্য নয় বলেই মনে করেন কূটনীতিকদের কেউ কেউ। তবে এ ক্ষেত্রে ভিন্নমতও আছে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলা’য় অভিযুক্ত বা ফেরারি আসামি ও বন্দিদের একে অপরের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি চুক্তি আছে ২০১৩ সাল থেকেই। চুক্তি অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তির নামে মামলা বা অভিযোগ করা হয় বা তিনি দোষী সাব্যস্ত হন অথবা দেশের আদালত কর্তৃক প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ করার জন্য ফেরত চাওয়া হয়, তাহলে তাকে ফেরত দেবে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ বলতে চুক্তিতে সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড হয় এমন অপরাধকে বলা হয়েছে। এর মধ্যে আর্থিক অপরাধও রয়েছে। তবে কোনো অপরাধ প্রত্যর্পণযোগ্য হওয়ার জন্য দ্বৈত অপরাধের নীতি অবশ্যই প্রযোজ্য হবে। এর মানে হলো কৃত অপরাধটি অবশ্যই দুই দেশে শাস্তিযোগ্য হতে হবে।

কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে সে অনুযায়ী কেউ যদি কোনো অন্যায় করে আইনিভাবে দোষী সাব্যস্ত হন, ওইরকম ব্যক্তিবর্গ যদি বাংলাদেশ বা ভারতে আশ্রয় নেয় তাহলে উভয় দেশ চুক্তি অনুযায়ী তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিটি ২০১৩ সালে করা হলেও ২০১৬ সালে মূল চুক্তিটি সংশোধন করা হয়। সংশোধনের সময় এমন একটি ধারা যুক্ত করা হয়, যা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াকে বেশ সহজ করেছে। সংশোধিত চুক্তির ১০ এর (৩) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও অভিযুক্তের হস্তান্তর চাওয়ার সময় অনুরোধকারী দেশকে সেই সব অভিযোগের পক্ষে কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ না করলেও চলবে শুধু সংশ্লিষ্ট আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা পেশ করলেই সেটিকে বৈধ অনুরোধ হিসেবে ধরা হবে।

Hasina3

গত সাড়ে চার মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে। চুক্তি অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে পারে ভারত।

যদিও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক সাহাব এনাম খান বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এই চুক্তি থাকলেও এখানে যদি শেখ হাসিনার লাইফ থ্রেটের বিষয় থাকে, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার কোনো শঙ্কা থাকে, তাহলে তাকে ফেরত দেওয়ার আগে ভারত অবশ্যই সেটা ভাববে।

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাসিনার গোটা পরিবার সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার পরে ইন্দিরা গান্ধী তাদের দুই বোনকে আশ্রয় দেন। সময়ের ব্যবধানে ফের শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী দল কংগ্রেসসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনা প্রশ্নে একমত। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের এই সরকারের হাতে ভারত তাদের ছেড়ে দেবে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে ভারত শেখ হাসিনার নিরাপত্তার ব্যাপারে আন্তরিক হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কও স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কে অনেকটা গলার কাঁটা হয়ে আছেন শেখ হাসিনা। এই অবস্থায় দেশটি উভয় কূল রক্ষার কোনো পন্থা বের করতে পারে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। অনলাইন ডেস্ক

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস

আপনার জন্য নির্বাচিত

অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না: অর্থ উপদেষ্টা

নির্বিচারে গুলি-হত্যায় অভিযুক্ত পুলিশের কী হবে?

পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ

ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

মাঠে আছি, নির্ভয়ে পূজা মণ্ডপে যাবেন: সেনাপ্রধান

নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪

হেফাজতের সমাবেশে ‘গণহত্যা’ : হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিচার চলবে কি না, জানা যাবে ১২ জুন

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ, সার্ক কার্যকর করার আহবান শিল্প উপদেষ্টার