মোস্তাফিজার রহমান (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আলুর দাম কমল ১২থেকে ১৫টাকা।গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১২থেকে ১৫টাকা কমে যাওয়ায় কিছুটা হতাশায় পরেছে কৃষকরা।তবে ফলন ভালো হওয়ায় খুব বেশী লাভ না হলেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না বলে জানায় প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক কৃষক,তবে লাভের আশায় আলু চাষ কৃষকের মুখে হাসি থাক।আজ দিনাজপুর সদর উপজেলার ঘুঘু ডাঙায় কৃষক শাহীনুর ইসলাম বলেন আমি পাঁচ বিঘা আলু ফসল লাগিয়ে ছিলাম। তবে বিঘা প্রতি আলু পেয়েছি ৬০বস্তা।প্রতি বস্তায় আলু থাকে ৭০কেজি।কিন্তু সারের দাম ও আলু বীজের দাম গত বারের তুলনায় খুব বেশী থাকায় আমাদের আলু উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে বিঘা প্রতি ৮০হাজার টাকা।আবার আলু উত্তোলন থেকে বেপারী পর্যন্ত নিয়ে আসতে খরচ হচ্ছে বস্তা প্রতি ২৩০টাকা।এবারে আলুর বীজ কিনেছি বস্তা প্রতি ৩৩শ থেকে ৩৫শ টাকা।যা গতবারে ছিল ২২শ থেকে ২৩শ টাকা।অন্যদিকে সরকারি যা দাম থাকে তার থেকে বেশী দামে সার কিনতে হয়েছে এতে করে আমাদের এক বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন থেকে বিক্রি পর্যন্ত খরচ হচ্ছে ৯৩হাজার টাকা।কিন্তু উৎপাদন বেশী হওয়ায় সব খরচ বাদ দিয়ে বর্তমানে বাজার মূল্য অনুযায়ী যে লাভ হচ্ছে সেটা যথেষ্ট নয়।তবে গত এক সপ্তাহ পূর্বে আলু তুলতে পারলে ভালো লাভ হতো।কারন গত এক সপ্তাহ আগে আলু ৭ জাতের আলুর দাম ছিল ৫০থেকে ৫৫টাকা আর সান সাইন আলুর দাম ছিল ৫৫থেকে ৬০টাকা। যা বর্তমানে সেভেন আলু কেজি প্রতি ৩৭থেকে ৩৮ টাকা এবং সান সাইন ৪১থেকে ৪২টাকা।তবে এই এলাকায় ৭আলুর উৎপাদন বেশী।ঘুঘুডাঙা এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন আমি অন্যের জমি বৎসর চুক্তিতে নিয়েছি।সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আলু ৭উৎপাদন করেছি।গতবারে ১৮শ থেকে ২২টাকায় ৫০কেজি বস্তার আলু বীজ কিনেছি।যেটা এবার কিনতে হয়েছে ৩৩শ থেকে ৩৫শ টাকা পর্যন্ত ।তারপরেও সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ৪০থেকে ৪৫হাজার টাকা লাভ হবে।তবে কয়েকদিন আগে বিক্রি করতে পারলে আরো বেশী লাভ হতো বলে সে জানায়।আড়ৎদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন আমরা কৃষকের কাছ থেকে ৩৭টাকা থেকে ৪২টাকা পর্যন্ত আলু কিনছি।এই বাজার পর্যন্ত যেতে ক্রেতাদের ৪৫থেকে ৫০টাকায় কিনতে হবে।তবে খরচ বেলী হওয়ায় খুব একটা বেশী লাভ হচ্ছে না বলে জানান কৃষক।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় চলতি রবি মৌসুমে ৪৩হাজার ২শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়।এবার উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮লাখ ৬০হাজার মেট্রিক টন।তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গতবারের তুলনায় এবার আগাম জাতের আলু উৎপাদন বেশী হওয়ায় দাম নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় পরেছে কৃষক।