বুধবার , ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

যেভাবে আলোচনায় এনবিআরের মতিউর পরিবার

প্রতিবেদক
admin
জানুয়ারি ১৫, ২০২৫ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) গত কোরবানির ঈদের আগে ছেলের অস্বাভাবিক দামে এক ছাগল কেনার বক্তব্য ঘিরে আলোচনার শুরু। মাঝে চাকরি হারানোর কষ্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গতি ফেরায় দুশ্চিন্তা। এবার গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ফের আলোচনায় এলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি।

গত কোরবানির সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রোর পক্ষ থেকে লাখ লাখ টাকায় গরু-ছাগল বিক্রির প্রচারণা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই খামার থেকে কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। যেখানে ইফাত জানান, তার বাবা এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান।

Motiur3

এরপর আলোচনা চলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এসব নিয়ে। এসব আলোচনার মধ্যে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউর পরিবারের বিপুল বিত্ত-বৈভবের চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরে গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

একপর্যায়ে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়।

পরে ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

Motiur2

এরপর গত ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন মতিউর রহমান। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) কর্মজীবন শুরু হয় তার। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত কাজ করেন সেখানে। সর্বশেষ উপ-ব্যবস্থাপক পদ থেকেই ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল যোগ দেন কাস্টমস বিভাগে। ২০১৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে কমিশনার হন তিনি।

২০২১ সালের ১২ আগস্ট তাকে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে সদস্য (টেকনিক্যাল) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাকে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট করা হয়।

Motiur4

ছাগলকাণ্ডের পরে মতিউরকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে যুক্ত করা হয়। পরে সরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে সরকার মনোনীত পরিচালক পদ থেকেও।

এদিকে মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী স্বামীর প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের পদ ভাগিয়ে নেন। নরসিংদী এলাকার সাবেক এক মন্ত্রীর আশীর্বাদে রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিন হন। তার বিরুদ্ধেও বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। -সূত্র : ঢাকা মেইল

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস