(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে।
এবার বাঁশ দিয়ে তিতুমীর কলেজের সামনের দুই পাশের রাস্তা আটকে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ করার ফলে মহাখালী থেকে গুলশান এবং গুলশান থেকে মহাখালী পর্যন্ত রাস্তার যান চলাচল সম্পন্ন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি পক্ষে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে না না স্লোগান দিচ্ছেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা পর্যন্ত আমরণ অনশনে রয়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এখনো চারজন অসুস্থ হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, যে কোনো মূল্যে ৭ দফা কর্মসূচি মেনে নেওয়ার ঘোষণা আসতে হবে। যতক্ষণ এই ঘোষণা না আসবে, ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

ছবি-সংগ্রহীত
শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হচ্ছে—
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।
৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।
৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সবশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
এর আগের দিন বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন। এ সময় তারা ৭ দফা দাবি জানান।