শনিবার , ১ মার্চ ২০২৫ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

দিনাজপুরে মাজারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

প্রতিবেদক
admin
মার্চ ১, ২০২৫ ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় তিন দিনব্যাপী ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি মাজারে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে চলে ভাঙচুর ও লুটপাট। এর আগে বিকেলে সীরাতে মুস্তাকিম পরিষদ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে লাঠিমিছিলের কর্মসূচি পালনকালে এ ঘটনা ঘটে।

‘রহিম শাহ বাবা ভান্ডারী মাজার’ নামের এ মাজারটি উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গুচ্ছগ্রামে অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত মাজারে বার্ষিক ওরস হওয়ার কথা ছিল। এজন্য মাজারের সামনে মঞ্চ ও বড় তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তদের জন্য শামিয়ানা দিয়ে তিনটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল।

এদিকে মাজারের ওরস ঠেকাতে পূর্ববর্তী কর্মসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদের ব্যানারে কয়েক হাজার লোকজন লাঠি হাতে মিছিল বের করেন। মিছিলটি মাজারের সামনে পৌঁছালে আশেপাশের আরও কয়েক গ্রামের মানুষ মিছিলে অংশ নিয়ে মাজারে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় মাজারের বিভিন্ন আসবাব, ঘরের টিন ও দেয়ালের ইট খুলে ফেলে হয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ লোকজন বিভিন্ন স্লোগান দেন। তৌহিদি জনতা আগুন দিয়ে মাজারের চারপাশ ঘিরে অবস্থান নেওয়ায় সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেতে পারেননি। ভাঙচুরকারীদের অভিযোগ, মাজারটিতে গানবাজনা, মাদক সেবন ও অশ্লীল কর্মকাণ্ড চালানো হতো।

স্থানীয় জনতা ও সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদ সদস্যদের অভিযোগ, ওরসের নামে বিদাত ও শিরক করা হয় ওই মাজারে। তারা তাদের পীরকে খোদা মনে করে, কথিত পীরকে সরাসরি সিজদা করেন। তারা মোমবাতি জ্বালিয়ে অগ্নি পূজার মতো করে পূজা করেন। মাজারের লোকজন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার ঢোল, তবলা ও হরেকরকম বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে গান, বাজনা ও জিকির করেন। প্রতি বছর ১৮ ফাল্গুন ওরসের নামে নারী-পুরুষ একত্রে হয়ে ভণ্ডামি ও মাদক সেবন করেন। এ ছাড়া মাজার প্রাঙ্গণে নামাজ পড়ার জন্য কোনো মসজিদ নেই। মুসলমান হয়ে তারা কোরআন ও ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কাজ করতেন। এবিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য মাজার কর্তৃপক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক কালবেলাকে বলেন, বিরাহীমপুর গুচ্ছগ্রামে মাজারে তৌহিদি জনতা হামলার পর আগুন দিয়েছে। তৌহিদি জনতার মধ্যে চরম উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। পরে রাত ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস