(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই নিষিদ্ধ নারীদের ক্রিকেট। তবে পুরুষ দল যথারীতি খেলে যাচ্ছে। নারী দলের ওপর খেলায় বিধিনিষেধ থাকায় পুরুষ দলও আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে মোহাম্মদ নবি-রশিদ খানদের বয়কটের ডাক। এবার আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যপদ স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শুক্রবার আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর কাছে পাঠানো চিঠিতে সংস্থাটি লিখেছে, ‘আমরা এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) আফগানিস্তানের সদস্যপদ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ থেকে তাদের নিষিদ্ধ করার জন্য আইসিসিকে অনুরোধ করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না নারী ও মেয়েরা আবার দেশে শিক্ষা ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারে ততক্ষণ এই আদেশ বহাল থাকুক। আমরা আইসিসিকে ব্যবসা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের নির্দেশিকা নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে একটি মানবাধিকার নীতি বাস্তবায়নের জন্যও অনুরোধ করছি।’
২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে যুক্ত করা হয়েছে ক্রিকেট। নারীদের ক্রিকেটে অংশগ্রহণের ওপর তালেবানের বিধিনিষেধ সরাসরি অলিম্পিক সনদের লঙ্ঘন করে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। আফগানিস্তান ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ না করলে অলিম্পিকে হয়তো ক্রিকেট ডিসিপ্লিনই থাকবে না। ‘আমরা জানি, অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ক্রিকেট। আর অলিম্পিকের চার্টার অনুযায়ী খেলাধুলার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক মানুষের অধিকার। কিন্তু তালেবান নারীদের খেলাধুলা থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত করেছে, যা অলিম্পিকের নীতির পরিপন্থি। এই অবস্থায় বৈষম্য দূর করতে আইসিসি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
বর্তমানে আফগান নারী দলের বেশিরভাগ সদস্য অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে। কিছুদিন আগে তারা একটি প্রীতি প্রদর্শনী ম্যাচও খেলেছে। আফগান পুরুষ ক্রিকেট দল আর্থিক এবং লজিস্টিক সহায়তা পেলেও সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হচ্ছে নারীরা। এর আগে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে, তালেবানের পূর্ববর্তী শাসনামলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আফগানিস্তানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটিকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত স্থগিত করেছিল। তখনও নারীদের খেলাধুলায় বাধা দেওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। -নিউজ ডেস্ক