(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সদ্য সাবেক দুই উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও ভর্তি বাণিজ্য, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক দুই উপাচার্য ড. এম. কামরুজ্জামান এবং ড. মু. আবুল কাসেমের বিষয়ে দুদক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ড. মু. আবুল কাসেম বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬ষ্ঠ উপাচার্য এবং ড. এম. কামরুজ্জামান সপ্তম উপাচার্য হিসেবে ২০২১ সালের ৩০ জুন নিয়োগ পেয়েছিলেন। দুদক সূত্রে জানা যায়, ড. আবুল কাসেমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও ভর্তি বাণিজ্য, বড় বড় নির্মাণ প্রকল্পে কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন ল্যাবে ইকুইপমেন্ট, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া সদ্য সাবেক উপাচার্য ড. এম কামরুজ্জামানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদক দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আতাউর রহমান সরকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবির দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘দুদকের দুটি চিঠি হাতে পেয়েছি। এছাড়া দুদকের তদন্ত কমিটি আমাদের সঙ্গে দেখা করে দুই সাবেক ভিসির বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে নথি চেয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় চেয়েছি।’