(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ঈদুল ফিতরের দিন দেশের কারাগারগুলোতে কারাবন্দীদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। এই খাবারের তালিকায় পোলাও, পায়েস গরুর মাংস এবং মুরগির রোস্ট ছাড়াও আরো নানা পথের খাবার ছিল।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত উল ফরহাদ।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনটি আনন্দঘন পরিবেশ উদযাপনের নিমিত্ত দেশের সকল কারাগারে যথাযথ নিরাপত্তায় বন্দীদের নিয়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল বন্দীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদুল ফিতরের নামজের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও বন্দীদের মাঝে উন্নত খাবার (সকালের নাস্তায় পায়েস, মুড়ি, দুপুরে-পোলাও, গরুর/খাসির মাংস, মুরগীর রোষ্ট, ডিম, কোল্ড ড্রিংকস, চমচম, পান-সুপারি, সালাত, রাতে- ভাত, মাছ, আলুর দম) পরিবেশন করা হয়।
এর বাহিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরুষ ও মহিলা বন্দীদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এতে সকল বন্দী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যামে অংশগ্রহণ ও উপভোগ করেন।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, কারাগারগুলোতে বিভিন্ন প্রকার উপহার সামগ্রী যেমন-ফুল, চকলেট, বাতাসা, কদমা, মিষ্টি, ফিন্নি, বেলুন ইত্যাদি দিয়ে আগত বন্দীদের আত্মীয়-স্বজন ও দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। বাংলাদেশ জেলের এ ধরনের সৌহার্দপূর্ণ আচরণ আগত দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
উল্লেখ্য যে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী তিন দিন সকল শ্রেণির বন্দিদের একবার বিশেষ সাক্ষাত ও টেলিফোনে নির্ধারিত নম্বরে কথা বলার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তিনদিনে একবার বাহিরের খাবার গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশ জেলকে সকলের মাঝে নতুনভাবে উপস্থাপন করছে। -ডেস্ক রিপোর্ট