(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দফায় দফায় হামলা করে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। গত কয়েক দিন ধরে দেশটির বর্বরতার মাত্রা অতীতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এবার বাংলাদেশেও একযোগে আন্দোলন শুরু হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশ ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এছাড়া সর্বসাধারণ গণহত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন। গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও মাঠে নেমেছেন। সোমবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা যেন পরিণত হয়েছে বিক্ষোভের নগরীতে। দেশের বিভিন্ন স্থানেও একযোগে পালিত হচ্ছে অভিন্ন কর্মসূচি। যে যার মতো করে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে অংশ নিচ্ছেন মিছিলে।
বাদ জোহর ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে একাধিক ইসলামি দল ও আলেম-ওলামাদের বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদী মিছিল বের করে। মিছিল থেকে জায়নবাদী ইসরায়েলের বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। অবিলম্বে এই বর্বরতা বন্ধ করতে আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে সকালে বেসরকারি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্মরণকালের সেরা প্রতিবাদ মিছিল করে। বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনো মিছিল অব্যাহত আছে। এতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে অংশ নেন। স্লোগান দেন দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে। এদিকে বিকেলে শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বড় আকারে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাদ আসর মহাখালী এলাকায় শুরু হবে প্রতিবাদ মিছিল। এছাড়া বায়তুল মোকাররম থেকেও বের হবে কয়েকটি মিছিল।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সবার মুখে মুখে গাজাবাসী জন্য সমবেদনা ও ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভের স্লোগান শোনা যায়।
এর বাইরেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর জায়গায় কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গাজাবাসীর চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগে চিকিৎসকরাও কর্মসূচি পালন করেছেন।
এসব কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দ্রুত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করা হোক। আর যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে একই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ডাকা কর্মসূচিতে একাধিক বিশ্বিবদ্যালয়, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একাত্মতাও জানানো হয়েছে। গাজাবাসীর ওপর বর্বরতার প্রতিবাদে শুক্রবার (১০এপ্রিল) বিএনপিপন্থী সংগঠন সবার আগে বাংলাদেশ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের কনসার্টের তারিখ একদিন পেছানো হয়েছে। -নিউজ ডেস্ক